সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২, ০৯:১৫ পিএম

সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চাই প্রত্যাশীরা।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জনাব গাজি লিকু ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে স্মারকলিপি দিয়ে।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত সংবাদে দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন কয়েক মাসের মধ্যেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা হবে। গত ২৫শে আগস্ট ধানমন্ডি দলীয় কার্যালয়ে স্বাক্ষাত করলে আবারও বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি।

জনপ্রশাসন সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন "আমরা কমিটি থেকে তো বাস্তবতার নিরিখে বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়নের জন্য অনেক আগেই সুপারিশ করেছি। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী মহোদয় তো এই বিষয়ে অগ্রসর হন না।”

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, "সরকার যদি নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বয়সসীমা বৃদ্ধি করে সেটাতে পিএসসির কোন আপত্তি নেই"।

সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের দাবি, প্রতিযোগিতার এই সময়ে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিতে ৩০ পেরিয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের কারণে বয়সমীমা একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে আসে।এছাড়া করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেশনজট তৈরি হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় চাকরির পরীক্ষা না হওয়ায় প্রতিযোগী আরও বেড়ে গেছে।

চাকরিপ্রত্যাশীদের ভাষ্য, বর্তমানে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়য়সীমা ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত হয় এখন থেকে ৩১ বছর আগে ১৯৯১ সালে, সেটাও অন্য সরকারের আমলে। তখন গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর আর এখন ৭৩। বিশ্বের ১৬২টি দেশে আমাদের চেয়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা অধিক। বাংলাদেশের জাতীয় যুবনীতিতে যুবকের সংজ্ঞায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়স বলা হচ্ছে আবার এখানে ৩০ বছরে আটকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ। অথচ জনপ্রশাসন সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি লিখিতভাবে বয়সসীমা ৩৫ অনুমোদন করার জন্য সুপারিশ করেছেন।

Link copied!