সিলেটে বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৯, ২০২২, ০৮:৩১ পিএম

সিলেটে বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মামলা

সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যার প্রতিবাদে করা মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সমাবেশ উপলক্ষে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ২ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।

গতকাল আওয়ামী লীগের সভা থেকে ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের’ বিরুদ্ধে গত রবিবার রাতে নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়। আওয়ামী লীগের ওই সভায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপরই রাত ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদ সারওয়ার এ মামলা করেন। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

হামলার ঘটনায় রবিবার ও সোমবার ৪ জনকে ৫৪ ধারায় আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইশতিয়াক আহমদ রাজু, বদরুল ইসলাম নজরুল, মিলাদ আহমদ ও রাজীব আহমদ।

রবিবার রাত সোয়া আটটায় নগরের আম্বরখানা এলাকায় খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ খুনের পেছনে সরকারদলীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত। ওই রাতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।

বিএনপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভাকে ভন্ডুল করার জন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে দাবি করা হয়, নিজেদের দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে মারা যান আ ফ ম কামাল। কিন্তু তারা দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পরিণত করার পাঁয়তারা করছে। এটাই বিএনপির চরিত্র। তারা নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে সব সময়ই সিদ্ধহস্ত। কিন্তু জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই তা হতে দেবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘটনার পরপরই সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁরা বিএনপির সন্ত্রাসীদের এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা গণমাধ্যমে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আবেগের জায়গা। বিএনপি সন্ত্রাসীরা আমাদের সেই আবেগের জায়গায় আঘাত করেছে, যা কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মেনে নিতে পারে না। শান্তি ও সম্প্রীতির সিলেট নগরকে অশান্ত করার জন্য বিএনপির সন্ত্রাসীরা পাঁয়তারা করছে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত দুষ্কৃতকারীদের সিলেটের মাটিতে স্থান হতে পারে না।’ নেতারা বিএনপির ‘সন্ত্রাসীদের’ অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

Link copied!