সুশীল সমাজের কাছে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জানতে চাইলেন উজরা জেয়া

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৪, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম

সুশীল সমাজের কাছে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জানতে চাইলেন উজরা জেয়া

সংগৃহীত ছবি

সুশীল সমাজ ও ট্রেড ইউনিয়নের ৫ জন প্রতিনিধির সাথে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। দেশের মানবাধিকারকর্মী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সুরক্ষা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আমেরিকান ক্লাবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উজরা জেয়া পার্বত্য চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কেও জানতে চান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, রানী ইয়ান ইয়ান, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার এবং সলিডারিটি সেন্টারের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এ কে এম নাসিম।

এ সময় দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন।

কাজ করতে গিয়ে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। মানবাধিকার পরিস্থিতি বা উন্নয়নের বিষয়ে তাদের সমালোচনাকে সরকার রাষ্ট্রবিরোধী বলে মনে করে।

এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো থেকে তহবিল অনুমোদন পাওয়া নিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় সেগুলো তুলে ধরেন সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো।

এ ছাড়া সরকার সমর্থক শ্রমিক নেতারা এই সেক্টরে আধিপত্য বিস্তার করায় প্রকৃত ট্রেড ইউনিয়নগুলো সমস্যার সম্মুখীন হয়। ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা অন্যায্য মনে করে এমন কিছুর প্রতিবাদ করলে তারা চাকরি হারান এবং শ্রম আদালতে মামলা করার পরেও ন্যায়বিচার পান না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রভাব নিয়ে উজরা জেয়া জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে তাঁকে জানানো হয়, সরকার আইনটি সংশোধনের কথা বলছে, কিন্তু এই আইনের অপব্যবহার হওয়ার পরও দেরি করছে; যেখানে অনেক সাংবাদিক এমনকি সাধারণ মানুষও এই আইনের ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ের জনগণ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তা দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে প্রতিফলিত হয় না সে বিষয়টিও উজরা জেয়াকে জানান  প্রতিনিধিরা।

Link copied!