সেই কাউন্সিলর রাজীবের মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) দায়ের  করা দুর্নীতি মামলার তদন্ত যত দ্রুত সম্ভব অথবা ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিউলি খানম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী শাহীন আহমেদ আবেদনের শুনানিতে অংশগ্রহন করেন। 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমে বলেন, “রাজীবের আইনজীবী আদালতে জানান যে তারা এ জামিন আবেদনটি আর চালাতে চান না। এরপর আদালত ননপ্রসিকিউশন করে তদন্ত যত দ্রুত সম্ভব বা ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দেন।”

শুদ্ধি অভিযানের সময় ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার ‘সুলতান’ খ্যাত ডিএনসিসি ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এরপর একই বছরের ৬ নভেম্বর ২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ ওই মামলা দায়ের করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, কাউন্সিলর রাজীবের নামে স্থাবর-অস্থাবর মিলে মোট ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৫ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাউন্সিলর থাকাকালে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।

• বিষয় :
• কাউন্সিলর রাজীব
• দুদক
• হাইকোর্ট