নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন

এক ধারায় প্রার্থী তলব, ভিন্ন ধারায় জরিমানা

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ০৯:৩২ পিএম

এক ধারায় প্রার্থী তলব, ভিন্ন ধারায় জরিমানা

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২৫৮ জনকে শোকজ করা হয়েছিল এবং ১৬২ জনকে রিপোর্ট করা হয়েছে। এখন অব্দি ৬৪ জনকে সাবধানবার্তা প্রদান করা হয়েছে। বাকি প্রার্থীদের শোকজ বিষয়ে এখনো কার্যক্রম চলছে। শোকজ হচ্ছে-মামলা হচ্ছে, প্রার্থীদের ডাকা হচ্ছে, কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে প্রার্থিতাও বাতিল। 

পরপর তিনবার শোকজে গত ২৬ ডিসেম্বরে এক চিঠিতে কুমিল্লা-৬ আসনের প্রার্থী আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং বরগুনা -১ আসনের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে নির্বাচন কমিশনে জবাবদিহিতার জন্য তলব করা হয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে জানান, বাহাউদ্দিন বাহারকে ৯১/ঙ ধারায় ডেকে ৯১/ক ধারায় সাজা দেয়া হয়েছে।  তবে এই ধারা পরিবর্তন করে শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার রাখে নির্বাচন কমিশন। 

তিনবার শোকজের পরেও বাতিল হয়নি প্রার্থিতা

প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা থাকলেও এখন পর্যন্ত তফসিলের পর কোনো প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিভিন্ন ধরন অনুসারে প্রার্থিতা বাতিল কিংবা প্রচারণা বাতিল করতে পারে ইসি। প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হবে না, এই মর্মে তলব করা হলেও ভিন্ন ধারায় শুধু আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রার্থীকে। 

প্রার্থিতা বাতিল না করার ফলে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বারবার কারণ দর্শানো নোটিশে তেমন প্রভাব পড়ছে না বলে জানান নির্বাচন বিশ্লেষকরা। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের কারও প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের যে সব ক্ষমতা রয়েছে সেগুলো যথাযথ ব্যবহার করতে পারেনি। শুধু প্রার্থিতা বাতিল নয় বরং অন্যান্য ক্ষেত্রেও কমিশন উদাসীন হয়।

তিনি আরও বলেন, ভোট বাতিলের ক্ষেত্রে দেখা যায় সম্প্রতি গাইবান্দায় নির্বাচন যেটি স্থগিত করেছিল সেটিতে কিন্তু অস্পষ্টতা রয়েছে। সেটি কি আদৌ নির্বাচন বাতিল নাকি কোন সাময়িক স্থগিত সেটা আইনগতভাবে স্বচ্ছ রাখেনি কমিশন। এদিকে ছোট ছোট কর্মকর্তা কর্মচারীদের শাস্তি ও বদলির মাধ্যমে গা বাঁচিয়ে চলছে কমিশন উল্লেখ করেন তিনি।

আইনের সঙ্গে মিলছে না প্রার্থীদের সাজা ব্যবস্থা

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৮৪ অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি এই আদেশের অধীন কোনো নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তিকে হুমকি, ভীতি-প্রদর্শন, আঘাত বা অন্য কোনোভাবে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বাধা প্রদান করেন বা বাধা প্রদানের চেষ্টা করেন বা এই আদেশের অধীন কোনো নির্বাচন সংক্রান্ত কাছে নিয়োজিত কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোনো গণমাধ্যম প্রতিনিধি বা পর্যবেক্ষককে বাধা প্রদান করেন তবে তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন।  আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বাহার এই ধারায় একাত্তর টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধিকে গালিগালাজ করায় আচরণবিধির লঙ্ঘন করেন। 

এছাড়াও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১ (ক) এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে উক্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে নির্বাচন কমিশনের নিকট সুপারিশসহ অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন। 

অধিকন্তু উক্ত প্রার্থী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে নির্বাচনি প্রচারণাকালে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে বিরোধী দলের কোনো কর্মীকে পাওয়া গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেয়ার জন্য তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ প্রদান করেন যা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি অনুসন্ধানপূর্বক গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১ (ক) এর লঙ্ঘন মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

৯১/ঙ ধারার নিয়ম অনুযায়ী [৯১৬। (১) এই আদেশ বা এর অধীন প্রণীত বিধিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্য বা লিখিত প্রতিবেদন হতে কমিশনের নিকট এটি প্রতীয়মান হয় যে, প্রতিদ্বন্দী কোনো প্রার্থী বা তাহার নির্বাচনি এজেন্ট বা, তাহার নির্দেশে বা তাহার পক্ষে, বা তাহার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্মতিতে, অন্য কোনো ব্যক্তি গুরুতর বে-আইনি কার্যে লিপ্ত হয়েছেন বা লিপ্ত হওয়ার প্রচেষ্টা করছেন বা এই আদেশ বা এর অধীন প্রণীত বিধিমালা বা আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করেছেন বা লঙ্ঘনের প্রচেষ্টা করছেন এবং অনুরূপ বে-আইনি কার্যে লিপ্ত এওয়া বা লিপ্ত হওয়ার প্রচেষ্টা বা লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের প্রচেষ্টার জন্য তিনি সদস্য নির্বাচিত হবার অযোগ্য হতে পারেন, তাহলে কমিশন, সংশ্লিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে শুনানির যুক্তি সংগত সুযোগ প্রদান করে বিষয়টি তদন্তের আদেশ প্রদান করবে।

(২) দফা (১) এর অধীন অনুষ্ঠিত তদন্তের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর, কমিশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, প্রতিবেদনটি সত্য, তাহলে কমিশন, লিখিত আদেশ দ্বারা, অনুরূপ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে এবং প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষেত্রে, উক্ত নির্বাচনি এলাকার অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে; এবং যেক্ষেত্রে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করবার ফলে কেবল একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অবশিষ্ট থাকে, সেইক্ষেত্রে উক্ত নির্বাচনি এলাকায় অনুচ্ছেদ ১৭ এর অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।:

তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার অধীন যে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, তিনি অনুচ্ছেদ ১৭ এর অধীন নির্বাচিত হবার যোগ্য হবেন না।

নির্বাচনি আচরণবিধির ৯১/ঙ ধারায় প্রার্থীকে ডাকার পরেও ৯১/ক ধারায় সাজার ব্যাপারে অতিরিক্ত সচিব অশোক দেবনাথ বলেন নির্বাচন কমিশন আর পি ও ৯১ /কি ধারার সঙ্গে মিল রেখে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে । যেকোনো সাজা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে নির্বাচন কমিশন ।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা বিষয়ে আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহারের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, তিনটা ধারায় আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ৯১,এ এর ধারায় যদি কোনো প্রার্থী বা প্রতিনিধি বা তার পক্ষে এ ধরণের কোনো নির্বাচনী বিধিমালা ভঙ্গ করে এবং যা নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে এই ধরণের কোনো আচরণ করেন তাহলে শুধু মাত্র প্রার্থীতা বাতিলের জন্য একজনকে ঠিচি দেওয়া যেতে পারে। 

আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহারের আইনজীবী আরও বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার মতো কোনো ঘটনা তিনি ঘটান নাই এবং কোনো আচরণ তিনি করেন নাই। যার দরুন ৯১,এ এর ধারা অনুযায়ী তার কার্যক্রমকে এই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ধারার মধ্যে প্রযোজ্য হবে না। আর ৭৩ ধারায় যে সাংবাদিকদের ব্যাপারে বলা হয়েছে সেইটাও কিন্তু এখানে প্রযোজ্য হয় না । একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারুক সাহেবকে কোনো প্রকার গালিগালাজ বা অশোভনীয় শব্দ তার বিরুদ্ধে বলেননি । এটা তিনি অস্বীকার করেছেন । যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তবে সেইটা বাইরে হয়েছে বাহাউদ্দিন কোনো ঘটনা ঘটাননি। 
আর ১১ক তে যে বিধি লঙ্ঘন বিষয়ে বলা হয়েছে বিধিমালা লঙ্ঘন হলে কিন্তু প্রার্থিতা বাতিল হবে না । ওনার বিরুদ্ধে মামলা অথবা অভিযোগ করার নিয়ম রয়েছে। আমাদের প্রধান বক্তব্য এটাই প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার মতো কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন তিনি করেননি । তাই প্রার্থিতা বাতিলের প্রশ্নই আসে না।

শুনানি শেষে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কুমিল্লা-৬ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ টাকা ও বরগুনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

তিনি বলেন, ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জরিমানার টাকা তিনদিনের মধ্যে জমা দিতে হবে এবং সেটা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। পরবর্তীতে রিটার্নিং কর্মকর্তা তা ইসিকে অবহিত করবেন।

এর আগে রবিবার নির্বাচনি আচরণবিধি মানার প্রশ্নে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেয় ইসি। তার একদিন বাদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুই সংসদ সদস্যের ব্যাখ্যা তলব করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। 

একাধিকবার নির্বাচনি আচরণ বিধি ভঙ্গে অভিযোগ বাহারের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না এবং শম্ভুকে জরিমানা বা কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, এমন নোটিশের ওপর যথাক্রমে এই দুই প্রার্থীর ব্যাখ্যা তলব করে কমিশন।

এর আগে বাহার নির্বাচনি অপরাধ ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে উল্লেখ করে এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সুপারিশসহ ইসিতে প্রতিবেদন পাঠায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।

নির্বাচনী আচরণবিধির ধারা অনুযায়ী তিনবার শোকজে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রার্থিতা বাতিল উল্লেখ থাকলেও আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর ক্ষেত্রে শুধু মাত্র জরিমানা বিষয়ে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন কমিশনের শোকজের সিদ্ধান্ত অনেকটা কোর্টের মতো এখানে যেকোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে। নির্বাচন কমিশন বিবিধ এবং আর পি ও মেনে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াবার এখতিয়ার রাখে।

আচরণবিধি বিবিধ এবং আর পি ও দুইটা মিলেই প্রার্থীদের ক্ষেত্রে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। 
আচরণবিধি ৯১ এর গ অনুযায়ী ৬ক কমিশন দফা (৬) এর অধীন কোনো সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার পর উহা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে প্রয়োজনীয় আদেশ বা নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিব।

(৬খ) যেক্ষেত্রে দফা (৬ক) এর অধীন কোনো আদেশ বা নির্দেশ জারি করা হয়, সেইক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে তাৎক্ষণিকভাবে উহা প্রতিপালন করিতে হইবে।

(৬গ) দফা (৬ক) এর অধীন কোনো আদেশ বা নির্দেশ জারি করা হইলে, কমিশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে অনধিক এক লক্ষ টাকা, তবে অন্যূন বিশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করিতে এবং, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করিতে পারিবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল (৭ ) কমিশন, অনুসারে দফা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ভোট-পূর্ব অনিয়ম বলিয়া গণ্য হইবে এইরূপ কার্য ও বিকৃাতিসমূহ নির্ধারণ করিয়া, সরকারি গেজেটে, বা তদ্বিবেচনায় উপযুক্ত অন্য কোনো ভারপ প্রকাশ করিবে।

(৮) কমিটির কোনো কার্যধারা দন্ডবিধি, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ধারা ১৯৩ ও ২২৮ এ বিধৃত অর্থে বিচারিক কার্যধারা (judicial proceeding) বলিয়া গণ্য হইবে। (৯) দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ৫ নং আইন) এর অধীন কোনো মামলা বিচারকালে, কমিটির কোনো ব্যক্তির হাজিরা কার্যকর করা এবং তাহাকে শপথপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করিবার এবং দলিল ও বস্তু দাখিল করিতে বাধ্য করা সম্পর্কিত দেওয়ানি আদালতের ন্যায় একই ক্ষমতা থাকিবে।

১৯১খ। (১) কমিশন, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে, এই আদেশের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।

Link copied!