জানুয়ারি ৮, ২০২৪, ০২:০৭ এএম
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বর্জন, এবং তুলনামূলক কম ভোটার উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। তবে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলের মনোনীত এবং স্বতন্ত্র বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী তাঁদের সংসদী আসনে জয়ী হতে পারেননি।
এদের মধ্যে প্রথমেই বলা যায়, ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকার মাঝি শামীম হক। ঈগল প্রতীকের এ কে আজাদ পেয়েছেন ১১০,৩৩৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৫৫,৯৪৪ ভোট।
আওয়ামী লীগের ভোট নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ার এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ এবারও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট।
নির্বাচনের আগে আলোচনায় ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসতে পারেননি অনেকেই। তেমনই একজন প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতস্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী মমতাজ।
এই আসনে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৯ ভোটের মধ্যে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বেসরকারিভাবে পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট। এই আসনে দেওয়ান জাহিদ টুলু ৬ হাজার ৮৯৯ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-স্বরূপকাঠী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ জয়ী হয়েছেন। তিনি ঈগল প্রতীকে ৯৯ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেপি প্রধান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৩৩৩ ভোট। মঞ্জু আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করেছিলেন।
কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে বড় ব্যবধানে পরাজিত হলেন মহাজোটের হেভিওয়েট প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ভেড়ামারা এবং মিরপুরের ১৬১ কেন্দ্রের সব কয়টির ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪৭৯ ভোট।
অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে কামারুল আরেফিন ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২৭ হাজার ৫৯৭ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া হেভিওয়েট প্রার্থী যশোরে স্বপন ভট্টাচার্য, রাজশাহীতে মাহিয়া মাহি তারাও শেষ জয়ের হাসি হাসতে পারেননি।