নভেম্বর ৫, ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এলাকায় শহীদ গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। ছবি: বাসস
আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে এনসিপি’র প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ (বুধবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এলাকায় শহীদ গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা এককভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে সমঝোতা বা জোট হলে সেটা একটা রাজনৈতিক বা আদর্শিক জায়গা থেকে হতে পারে। জুলাই সনদে আমাদের যে সংস্কারের দাবিগুলো রয়েছে, এই দাবিগুলোর সঙ্গে যদি কোনো দল সংহতি প্রকাশ করে সে ক্ষেত্রে আমরা জোটের বিষয়টা বিবেচনা করবো। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা এককভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমাদের প্রার্থীদের প্রাথমিক একটা তালিকা প্রকাশ করবো।
তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেক্ষেত্রে ৩০০ আসনই আমাদের লক্ষ্য। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, তাদের সম্মানে-তাদের আসনে আমরা প্রার্থী দেবো না। যেমনটা বেগম খালেদা জিয়ার আসনের কথা উঠেছে। এছাড়া সর্বাধিক আসনে আমরা প্রার্থী দেবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছি। দেশের স্থানীয় গডফাদার যাদের টাকা আছে তারা নির্বাচনে দাঁড়ায়, নির্বাচনের সেই সংস্কৃতিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করবো।
যাকে সাধারণ মানুষের পাশে পাওয়া যায়, এমন গ্রহণযোগ্য মানুষ, শিক্ষক, ইমাম, সামাজিক নেতৃবৃন্দদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই। সে উদ্দেশ্য আমাদের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে একাধিক স্øিন্টারের আঘাতে আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৬ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাজী সালাউদ্দীন। আজ তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান এনসিপি`র এই নেতা।
শহীদ সালাউদ্দীনের কথা স্মরণ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন গাজী সালাহউদ্দিন। আহত অবস্থায় গত ২৬ অক্টোবর তিনি ইন্তেকাল করেন। আমরা এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। এমন হাজারো জুলাই যোদ্ধা আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন, অনেকের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন, না হলে গাজী সালাউদ্দীন ভাইয়ের মতো অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দেবে।
শহীদ গাজী সালাউদ্দীনের পরিবারের পাশে থাকার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, তাদের ত্যাগের কারণেই আমরা গণঅভ্যুত্থানে সফল হয়েছি, ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে একটি নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণের স্বপ্ন দেখছি। তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা সবসময়ই থাকবে। নির্বাচনী ডামাডোলে যেন আমাদের আহত, শহীদ পরিবারের কথা যেন ভুলে না যাই।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব তামিম আহমেদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি তুহিন খান।