বেটা
সংগৃহীত ছবি
মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ডাটার ৩ দিন ও ১৫ দিনের প্যাকেজ আগামী অক্টোবর থেকে থাকছে না জানিয়ে নির্দেশিকা প্রণয়ন চূড়ান্ত করছে বিটিআরসি। নতুন এই নির্দেশিকা সম্পর্কে মুঠোফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
নতুন এই নির্দেশনা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। এর আগে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশিকা সম্পর্কে সবাইকে জানাবে।
বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে মোবাইল অপারেটররা বলছে, অর্ধেকের বেশি গ্রাহক তিন দিনের প্যাকেজ পছন্দ করে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ীই তৈরি করা হয় ইন্টারনেট প্যাকেজ। বিটিআরসির এক জরিপেও দেখা যায়, ৬৫ শতাংশ গ্রাহকের চাহিদা তিন দিন মেয়াদী মোবাইল ইন্টারনেটের।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজ থাকবে সর্বোচ্চ ৪০টি এবং মেয়াদ ৭ ও ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড করা হচ্ছে।
বর্তমান নির্দেশিকা অনুযায়ী, একেকটি মোবাইল অপারেটরের সর্বোচ্চ ৯৫ ধরনের মোবাইল প্যাকেজ চালু করার সুযোগ রয়েছে। বিটিআরসির সূত্র জানিয়েছে, অপারেটরদের অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকেরা নিজেদের পছন্দমতো প্যাকেজ বানিয়ে নিতে পারবে, যা এই ৪০টির বাইরে হবে।
বর্তমানে গ্রামীণফোনের ৮০টি, রবির ৯৫টি, বাংলালিংকের ৬৫টি ও টেলিটকের রয়েছে ৬০টি ডেটা প্যাকেজ।
এর আগে ২০২২ সালে এক নির্দেশিকায় এ সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিটিআরসি। সেখানে ৩, ৭, ১৫ ও ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়।
এরপর বিটিআরসি বলছে, বেশি প্যাকেজ নিয়ে গ্রাহকেরা অভিযোগ দিচ্ছে। বেশি প্যাকেজ থেকে সঠিকটা বাছাই করা জটিল। তাই আবারও ডেটা প্যাকেজের নতুন নীতি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, গ্রাহকদের চাহিদা ও স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নতুন নির্দেশিকা হয়েছে। এছাড়া দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান।
তবে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রান্তিক গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানালেন রবি চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলটরি অফিসার সাহেদুল আলম।
অন্য অপারেটর বাংলালিংকের চিফ করপোরেট ও রেগুলটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান বলেন, মোবাইলের প্যাকেজ ডিজাইন করা হয় বিভিন্ন স্তরের গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে। কারণ একজন শিক্ষার্থী অথবা একজন নিম্ন আয়ের মানুষের মোবাইল ব্যবহারের প্যাটার্ন আর একজন ব্যবসায়ীর মোবাইল ব্যবহার এক নয়।
