মার্চ ১৪, ২০২৩, ১২:২৩ এএম
কোনো সাফল্যই ত্যাগ ছাড়া আসে না। সফলতা কারো জীবনে সহজে ধরা দেয় না। এ জন্য প্রয়োজন হয় বহুদিন ধরে কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার। প্রত্যেকটি কাজের পেছনে লেগে থাকে। মালেশিয়ান অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো যেন তারই এক অনন্য উদাহরন। অস্কারের ৯৫ তম আসরে ‘এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন ইয়ো। অথচ সংসার টিকিয়ে রাখতে অভিনয়ও ছেড়েছিলেন তিনি! যুক্তরাষ্ট্রের নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন বাসলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছিলেন।
সেই সাক্ষাৎকারে মিশেল বলেছেন, ১৯৮৮ সালে আমার বয়স যখন ২৮ তখন আমার বিয়ে হয় ব্যবসায়ী ও অত্যন্ত ভালো মনের একজন মানুষ ডিকসন পুনের সাথে। তখন আমি অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এটা ডিকসন কিংবা তাঁর পরিবারের চাপের কারণে বা এ রকম কিছু ছিল না। কারণ এশিয়া বিবাহিত নারীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংসারী হতে হয়। কিন্তু সেই সময়ে আমি বিস্ময়ের সাথে কিছু অভিনেত্রীকে দেখতাম যারা একজন মা হয়ে, বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেত এবং এর পাশাপাশি অভিনয় করতে সক্ষম হয়েছিল। আমি তখন অনুভব করেছিলাম আমি অভিনয় চালিয়ে যেতে যাই, কিন্তু তখন মনে হয়েছিল আমি ক্রমাগত পরিবার থেকে দূরে থাকব। আমি তখন বুঝতে পারিনি কীভাবে আমি বিবাহিত অবস্থায় ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে পারি।’
কিন্তু এরপর ১৯৯২ সালে ডিকসন পুনের সাথে বিচ্ছেদের পরে মিশেল ইয়ো আবার অভিনয়ে ফিরেন। এরপর বাকিটা ইতিহাস। ওই বছরই জ্যাকি চ্যানের বিপরীতে ‘সুপারকপ’ সিনেমা তাঁকে দর্শকপ্রিয়তা এনে দেন। এর পরের বছরটি তাঁর ক্যারিয়ারে আরও সাফল্য এনে দেয়। ১৯৯৩ সালে ছয়টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরমধ্যে ‘দ্য হিরোইক ট্রাইয়ো’, ‘বাটারফ্লাই এন্ড সোর্ড’, ও ‘সুপারকপ’ উল্লেখযোগ্য।
মিশেল ইয়ো এভাবেই নিজেকে মেলে ধরেছেন। হার মানেননি পরিস্থিতির কাছে। অভিনয় তার রক্তে মিশেছিল। ভাললাগার বিষয় ছিল। তিনি সেটিকেই আকড়ে ধরে আজ সফল হলেন।
রয়টার্স