ফুটবল মাঠে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই মানেই ভিন্ন উন্মাদনা। আর সেটি যদি বিশ্বকাপের লড়াই হয় তাহলে তো উন্মাদনার পারদ পৌঁছে যায় চরমে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মহারণ ছাপিয়ে যায় বিশ্বের যেকোনো দ্বৈরথকে। কোটি সমর্থক প্রতীক্ষায় থাকে দুই পরাশক্তির এল ক্লাসিকো উপভোগ করার জন্য। সেই সুযোগ আবারও পেয়ে যাচ্ছেন ফুটবল প্রেমীরা।
আগামীকাল লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ ব্রাজিলের ঘরের মাঠ রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে কখনো হারেনি ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের গ্রুপে সবার ওপরে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উরুগুয়ে। কলম্বিয়ার নয় ও ভেনেজুয়েলার আট। সাত পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে স্বাগতিক ব্রাজিল।
দুই বছর আগে এই মারাকানাতেই ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। আবার ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে হার নিশ্চয়ই এখনো ভুলতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা।
তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা্র দূর্গে আক্রমণ করবে কে?
ঘরের মাঠে পরিসংখ্যান যাই বলুক কিছুটা হলেও চাপে থাকবে ব্রাজিল। নেইমার ইনজুরির কারণে আগেই বাদ। ছিটকে গেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও। রদ্রিগো, রাফিনহার সঙ্গে গ্যাব্রিয়েল মাতিনেল্লি ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের ওপরও আস্থা রাখছেন কোচ ফার্নান্দো দিনিজ।
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি ও দলটির বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক উরুগুয়ের কাছে নিজ মাঠে পরাজয়ের পর বলেছিলেন, ব্রাজিলের বিপক্ষে মারাকানায় ঘুরে দাঁড়াবে তার দল। সেই হিসেবে কোচ গত শনিবার প্রথম অনুশীলনে একটি নতুন ফরমেশনও পরীক্ষা করেছেন। নিকো গঞ্জালেজের পরিবর্তে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ম্যাচের দিকে নজর দিয়েছেন। ব্রাজিলের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। দুই দলেরই লক্ষ সুপার ক্লাসিকো জয়ে এগিয়ে যাওয়া। সাথে ব্রাজিলের গত কোপার ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেয়ার মিশনও।
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় ২০২৬ বিশ্বকাপে ৪৮টি দল অংশগ্রহন করবে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে শীর্ষ ছয়টি দলের সরাসরি খেলবে সেই আসরে।