জাপানের বিতর্কিত গোল নিয়ে যা বলছে ফিফা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২, ২০২২, ০৫:০২ পিএম

জাপানের বিতর্কিত গোল নিয়ে যা বলছে ফিফা

গ্রুপ পর্বে দুই ফেভারিট জার্মানি ও স্পেনকে হারিয়ে নকআউটে সূর্যোদয়ের দেশ। কিন্তু এত ভালো পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও বিতর্ক তাদের পিছু ছাড়ছে না। স্পেনের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে জাপানের একটি গোল নিয়ে এখন বিশ্বজুড়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর এর জন্য কাঠগড়ায় সেই 'ভিএআর' প্রযুক্তি ৷ জাপান স্পেনের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতলেও বিতর্ক এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাদের।

ম্যাচ শেষেও ফিফা জাপানের পক্ষেই কথা বলছে। ফিফার নিয়মানুযায়ী, বল যদি 'অ্যারিয়াল ভিউ' (ওপরের দিক থেকে ভিউ) থেকে কোনো অংশ লাইনের মধ্যে থাকে, তাহলে সেই বল মাঠের মধ্যে আছে বলে ধরা হবে এবং খেলা চালিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ, গোললাইন টেকনোলজিতে যেভাবে 'অ্যারিয়াল ভিউ' থেকে দেখে নির্ধারণ করা হয় বল গোললাইন পেরিয়েছে কি না, ঠিক সেভাবেই বল মাঠের বাইরে গেছে কি না, তাও নির্ধারণ করা হয়েছে। যেহেতু 'অ্যারিয়াল ভিউ'-তে বলের পুরো ১০০ শতাংশ লাইন পার করেনি, তাই জাপানের পক্ষে সিদ্ধান্ত গেছে।

এদিকে ফিফার ৯ নম্বর আইনে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কোনো বল বেরিয়ে গেছে বলে তখনই ধরা হবে, যখন সেই বল মাটিতে ঠেকা বা শূন্যে থাকাবস্থায় গোললাইন বা টাচলাইনের পুরোটা পেরিয়ে গেছে। যে নিয়মের কারণে স্পেনের বিরুদ্ধে যখন মিতোমা বল পাস করেন, তখনও খেলার মধ্যেই ছিল বল।

বিতর্কিত এই গোল নিয়ে আলোচনা চলছে জার্মানির গণমাধ্যমেও। তারা এটিকে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে জিওফ হার্স্টের বিতর্কিত গোলের সঙ্গে তুলনা করছে। ৫৬ বছর আগে আরেকটি বিতর্কিত গোলে পুড়তে হয়েছিল জার্মানদের। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ সময় পর্যন্ত  ১-১ গোলে সমতায় ছিল জার্মানি। একদম শেষ মুহূর্তে জিওফ হার্স্টের শট ক্রসবারে লেগে গোললাইনে পড়ে, পরে তা ক্লিয়ার করেন জার্মান ডিফেন্ডার। রেফারি প্রথমে কর্নার দিলেও সহকারী রেফারির সঙ্গে আলাপ করে আসে গোলের সিদ্ধান্ত। ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।

ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকারও বলেছিলেন, যদি জাপানের গোলটি বাতিল হতো তাহলে শেষ ১৬ নিশ্চিত হতো জার্মানির।

Link copied!