টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান। দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্য হুবহু তুল ধরা হলো...
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা...
সাকিব: আমার কাছে তো মনে হয় ভালো সুযোগ আছে। আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে। এর বড় কারণ হচ্ছে গত তিনটা সিরিজ আমরা জিততে পেরেছি। হয়ত পিচ, উইকেট, লো স্কোর নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু জয়ের কোনো বিকল্প নেই। একটা দল যখন জিততে থাকে, জয়ের মানসিকতা থাকে, তা অন্য পর্যায়ের আত্মবিশ্বাস দেয়। আপনি অনেক ভালো খেলে ম্যাচ হারলে এই আত্মবিশ্বাস থাকবে না। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যেতে চাই। আমরা বিশ্বকাপ শুরুর ১৫-১৬ দিন আগে যাব, প্রস্তুতির যথেষ্ট সময় থাকবে। ঐ কন্ডিশন ও পিচের সাথে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় পাব। আমার মনে হয় না এখানকার পিচ-কন্ডিশন ওখানে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে। আমাদের জয়ের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। যে আত্মবিশ্বাস আছে, সেটা নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারব।
আইপিএলে আগে খেলা হেল্প করবে কি না...
সাকিব: আশা করি সহায়তা করবে। আমরা যেহেতু ওখানে থাকব, ঐ কন্ডিশনের সাথে প্রতিদিন আমাদের দেখা হবে, আমরা ম্যাচও খেলব। এই অভিজ্ঞতা আমরা দলের সাথে ভাগাভাগি করতে পারব, আমি পারব, মুস্তাফিজ পারবে। ৮টি আইপিএল দলে দুইজন প্রতিনিধিত্ব করছি, খেলোয়াড়দের ভাবনা কেমন, বিশ্বকাপ নিয়ে কীভাবে ভাবছে অন্যান্য দেশে খেলোয়াড়রা- এগুলো সম্পর্কে ধারণা হবে যা সতীর্থদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারব। যেটা আমাদের বিশ্বকাপে ভালো করতে সহায়তা করবে।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে কী চিন্তা...
সাকিব: গতবার আইপিএল শেষ করে খেলতে গিয়েছিলাম (২০১৯ বিশ্বকাপ)। এবারও ওরকম সুযোগ আছে। চেষ্টা করব নিজেকে সর্বোত্তম পন্থায় প্রস্তুত করার, যেন দেশের হয়ে আমার পক্ষে যতটুকু পারফর্ম করা সম্ভব তা করতে পারি। সবসময় একরকম পারফর্ম হবে এটা ঠিক না। আমার চেষ্টা থাকবে শতভাগ।
বিশ্বকাপে কোন পর্যায়ে যাওয়া উচিৎ বাংলাদেশের...
সাকিব: কোন পর্যায়ে যাওয়া উচিৎ এটা আসলে বলা মুশকিল। আমাদের চেষ্টা তো থাকবে সর্বোচ্চ অবস্থানে যাওয়ার। সেটার জন্য ধাপে ধাপে এগোতে হবে, ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে হবে। আমরা যদি প্রথমে ভালো করতে পারি সেটা আমাদের পরের ম্যাচগুলোতে ভালো করার জন্য আত্মবিশ্বাস দিবে। প্রথম রাউন্ড ভালোভাবে শেষ করতে পারলে মূল পর্বে আমাদের সেরা পারফরম্যান্সের চেষ্টা করব।
বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার মঞ্চ কি না...
সাকিব: দেখুন, আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দলের জন্য কতটা অবদান রাখতে পারছি, দলের জয়ের পেছনে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছি। আমার মনোযোগ সবসময় এরকমই ছিল, এরকমই আছে, এরকমই থাকবে। এটার কোনো পরিবর্তন নেই। সেটা যদি উইকেট না পেয়ে রান কম দিয়েও হয়, আমি খুশি থাকব। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে দলগত পারফরম্যান্সই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ওপেনারদের ফর্ম নিয়ে চিন্তা...
সাকিব: এই ৯-১০টা ম্যাচ যারা খেলেছে সবাই অফ ফর্মে আছে। উইকেটটাই এমন। এখানে কেউ খুব একটা ভালো করেনি যে বলতে পারবেন ও ভালো করেনি। ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে এই পারফরম্যান্স খুব একটা গণ্য না করাই ভালো। এরকম উইকেটে কোনো ব্যাটসম্যান ১০-১৫টা ম্যাচ খেললে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। এটা কাউন্ট না করি আমরা। যারা দলে আছে সবাই দেশকে জেতানোর সামর্থ্য রাখে। যার যার জায়গা থেকে সবাই শতভাগ চেষ্টা করছে।