এইচআইভি প্রতিরোধি টিকার ট্রায়াল শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জানুয়ারি ২৯, ২০২২, ০৯:১০ পিএম

এইচআইভি প্রতিরোধি টিকার ট্রায়াল শুরু

বিশ্বে প্রথমবারের মতো মরণব্যাধী হিউম্যান ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) প্রতিরোধি  টিকার পরীক্ষামূলক ট্রায়াল শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য প্রথম ধাপে ৫৬ জন এইচআইভি নেগেটিভ স্বেচ্ছাসেবীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার প্রকাশিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি এখনও নাম না দেয়া টিকাটি প্রস্তুত করেছে মডার্না।

বৃহস্পতিবারে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে মডার্না ও ইন্টারন্যাশনাল এইডস ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভস (আএভিআই) এইচআইভির টিকার ট্রায়াল শুরুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত ৪০ বছর ধরেই এইডসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক গবেষকরা। এই প্রথম এক্ষেত্রে সাফল্য পেলেন তারা।

ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানবদেহে ব্রডলি নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি বা বিএনএডি নামের এক বিশেষ অ্যান্টিবডি তৈরি করবে এই টিকা। এটি মানবদেহে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করলে নিষ্ক্রিয় করে দেবে।

টিকার ইমিউনোজেন এ কাজটি করবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এইডস নিয়ে এ পর্যন্ত যত গবেষণা হয়েছে, তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে বিএনএডি এইচআইভিকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।

অন্যভাবে বলা যায়, মানবদেহে এইচআইভি সংক্রমণ ঠেকানোর প্রথম ধাপ বিএনএডি। তাই এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই নতুন এ টিকা তৈরি করা হয়েছে বলেও্ বিবৃতিতে জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, টিকাটি মূল এইচআইভি ও সবকটি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই কার্যকর হবে বলে আশা কেরছে মডার্না।

প্রসঙ্গত, অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম বা এইডস একই সাথে রোগ ও রোগের লক্ষণসমষ্টি। এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে মানবদেহে একই সাথে বিভিন্ন রোগ ও রোগ লক্ষণ দেখা দেয়। এইচআইভি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আক্রমণ ও পুরোপুরি ধ্বংস করে। ফলে এইডসে আক্রান্ত রোগী খুব সহজেই বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হন।

এইচআইভি ভাইরাস অনিরাপদ যৌনতা, রক্ত সঞ্চালন, সিরিঞ্জের সূঁচের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। এছাড়া, মায়ের মাধ্যমেও এইডসে আক্রান্ত হয় শিশুরা। সাহারা ও নিম্ন আফ্রিকার অঞ্চলগুলোতে এইডসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যান এইডসে আক্রান্ত হয়ে। ২০১৮ সালে বিশ্বে এইডসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Link copied!