ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২, ০৩:৩২ পিএম
রাশিয়ার সামরিক হামলার পর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশি পোল্যান্ডে যেতে যাওয়া মানুষের ঢল ক্রমশ বাড়ছে। দেশটিতে থাকা অন্য দেশের নাগরিকেরাও ইউক্রেন ছাড়তে পোল্যান্ড সীমান্তে ভিড় করছেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন।
তবে সীমানা পাড়ি দিতে গিয়ে ইউক্রেনিয়ানরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন বলে জানা গেছে৷ একারণে পোল্যান্ডে ঢুকতে চাওয়া বাংলাদেশিদের সীমান্ত এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷
পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, “অনেকে সীমান্ত এলাকায় এসে আবার ফেরত যাচ্ছেন৷”
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দুপুর বারোটার দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা) গণমাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান৷
সুলতানা লায়লা হোসেন বলেন, “ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ তিনি জানান, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা৷”
ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করেছি জানিয়ে পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “ সেখান থেকে একটি ফোনকলের অপেক্ষায় আছি এখন।”
পোলিশ প্রান্তে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বলেন, “পোলিশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে৷ স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক বাংলাদেশিকে ইউক্রেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পোল্যান্ডে আনা গেছে৷”মোট সাতটি সীমানা পয়েন্ট দিয়ে ইউক্রেন থেকে মানুষ পোল্যান্ডে আসছেন বলেও তিনি জানান।
দূতাবাসের আনুমানিক হিসেবে, ইউক্রেনে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার উল্লেখ করে পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “আমাদের একটি দল এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অপেক্ষা করছে৷ আমরা তাদের থাকা, পরিবহণসহ সব ব্যবস্থাই করছি৷ তবে অনেকে আত্মীয় বা পরিচিতদের সঙ্গে থাকার জন্য চলে যাচ্ছেন।”
এদিকে, বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পোল্যান্ডের সীমান্ত রক্ষা সংস্থা জানাচ্ছে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে পোল্যান্ডে যাওয়া মানুষের ঢল ক্রমশ বাড়ছে। ইতোমধ্যেই এক লাখ ইউক্রেনীয় পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে যারা পালাচ্ছেন, তাদের সকলকে আশ্রয় দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পোল্যান্ড সরকার। যাদের কোথাও যাওয়া জায়গা নেই, তাদের অস্থায়ী বাসস্থানের আশ্বাসও তারা দিয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত পারাপারের আটটি চৌকির সবগুলো দিয়ে শরণার্থীদের পায়ে হেঁটে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়েছে, কারণ সীমান্ত চৌকিগুলোতে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। এর আগে পায়ে হেঁটে আসা মানুষদের শুধু একটি চৌকি, মেডিইকা দিয়ে পার হবার অনুমতি দেয়া হচ্ছিল।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।