ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ১১:০৩ পিএম
তুরষ্কের মধ্যাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি প্রদেশে ও পাশের দেশ সিরিয়ায় আঘাত হানা শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে শুধুমাত্র তুরষ্কেই নিহত হয়েছে প্রায় দেড় হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন আরও ৮ হাজারের বেশি। এছাড়া, দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে।
তুরষ্কের সরকারি কর্মকর্তাদের এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ (ইউএসজিএস) ধারণা করছে, ভূমিকম্পের ফলে তুরষ্কে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এই সংখ্যা এক লাখে পৌঁছারও কিছুটা আশঙ্কা আছে বলে জানায় সংস্থাটি।
তুরষ্কের আঘাত হানা অঞ্চলগুলোতে অতীতের ভূমিকম্প, সর্বাধিক কম্পনের আওতাধীন এলাকার জনসংখ্যার কাঠামো এবং সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত অঞ্চলের অবকাঠামোগত দুর্বলতার ওপর ভিত্তি করে এমন অনুমান করেছে ইউএসজিএস।
সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পে তুরষ্কে প্রাণহানি এক হাজার থেকে ১০ হাজার জনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ৪৭ শতাংশ। আর ১০০ থেকে ১ হাজার জনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ২৭ শতাংশ। তবে ১০ হাজার থেকে এক লাখের মধ্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনাও রয়েছে, সেটি ২০ শতাংশ।
ইউএসজিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেকর্ড মাত্রার এই ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ভূমিকম্পের বিপর্যয় প্রবল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
‘ওই অঞ্চলের মানুষ এমন অবকাঠামো ব্যবস্থায় বসবাস করেন, যেগুলো ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কিছু ভূকম্পন প্রতিরোধী অবকাঠামোও রয়েছে সেখানে।’
মার্কিন এই জরিপ সংস্থাটি ভূমিকম্পের ফলে তুরষ্কের সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সংস্থাটির মতে, তুরষ্কের ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার থেকে এক হাজার কোটি ডলারের মধ্যে হতে পারে। এটি দেশটির জিডিপির প্রায় ২ ভাগের সমান।