পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয়দিন: ভোগান্তি চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৭, ২০২১, ০৫:৪২ পিএম

পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয়দিন: ভোগান্তি চরমে

জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো রবিবার (৭ নভেম্বর) চলছে পরিবহন ধর্মঘট। বাস-ট্রাক বন্ধের সঙ্গে শনিবার (৬ নভেম্বর) যোগ হয়েছে লঞ্চ ধর্মঘটও। চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন অফিসগামীরা।

রবিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এমন চিত্র দেখা গেছে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় টানা তৃতীয় দিনের মতো গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীরা। এ সুযোগে রাস্তায় চলাচলকারী বিআরটিসি বাস, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভাড়ায় চলা মোটরসাইকেলে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। তিন-চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন কর্মজীবীরা। অনেকেই আবার ভাড়া বেশি হওয়ায় হেঁটেই গন্তেব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন।

গণপরিবহন না থাকায় সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। দফায় দফায় যানবাহন পরিবর্তনই শুধু নয়, হেঁটে রওনা হতে হয়েছে বেশিরভাগ মানুষকে। রাজধানীর প্রতিটি বাস স্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড়।

সড়কের এ অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভরসার নৌপথও অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জাহাজ পরিবহন মালিক সমিতি। তাদের দাবি, তেলের দামের সঙ্গে মিলিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করা না হলে, সম্ভব নয় লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখা। এদিকে না জেনে যারা এসেছিলেন লঞ্চ টার্মিনালে তারাও পড়েছেন ভোগান্তিতে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জনিয়েছে, যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া বৃদ্ধি অনৈতিক কাজ। মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিজেলের দাম বাড়ানোতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মালিকরা।

এদিকে চট্টগ্রামে পরিবহন মালিকদের একাংশের আজ বাস চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল নগরের পথে পথে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও অবস্থানের কারণে দুর্ভোগের শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। অনেকের ব্যক্তিগত যান চলাচলেও শ্রমিকরা বাধা দেয়। এমন অবস্থা সরকার দল সমর্থিত পরিবহন মালিকদের একটি অংশ আজ রোববার সকাল থেকে নগরে যানবাহন চলাচল করার ঘোষণা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮০ টাকা করা হয়। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিচালক-মালিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বাস-লঞ্চ মালিকেরাও।

Link copied!