‘বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষায় রাজপথে নামতে হবে’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৩, ২০২১, ০৮:০৩ পিএম

‘বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষায় রাজপথে নামতে হবে’

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেতা-কর্মীদের রাজপথে নামার আহবান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের এ সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “কৃষক দলের নেতৃবৃন্দকে বলছি, আপনারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েন। বাংলাদেশের সব কৃষক-কৃষানীদেরকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসুন। তারা তাদের নেত্রীর জন্য, বাংলাদেশের অস্তিত্বর জন্য আসুক রাজপথে। আমরা সবাই মিলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাই, গনতন্ত্রকে মুক্ত করি।”

এসময় তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি, আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই দুঃশাসনকে পরাজিত করে সত্তিকার অর্থে ন্যয়, সত্য, সুন্দর গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশ নেত্রীকে মুক্ত করে তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।”

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজ বড় দুঃসময় বাংলাদেশের। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যদি চিকিৎসা না বাংলাদেশে, তাহলে সাধারণ মানুষ তো চিকিৎসা পায়ই না। হাসপাতালে যাবেন, দেখবেন কোন চিকিৎসা নেই। বেগম খালেদা জিয়ার মতো মানুষকে যদি বিদেশে না পাঠায় আর আমরা যদি গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে এই দেশের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে, বিলুপ্ত হয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “এসব করে কোন লাভ হবে না। জনগণ জেগে উঠতে শুরু করেছে। জেগে উঠবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার অববাহিকায় উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হবে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সরকার খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে সচেতনভাবে হত্যা করছে। আমরা চাই দেশনেত্রীকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া হোক। এটা ন্যূনতম দাবি। এটা কোন দয়া নয়, মহানুভবতা নয় কিংবা মানবিক ব্যাপার নয়। এটা নাগরিক হিসেবে অধিকার।”

তিনি বলেন, “এরা (আওয়ামী লীগ) কাউকে সহ্য করতে পারে না। তাই দেশনেত্রীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাজা ভোগ করাচ্ছে। এরা ভিন্ন মত সহ্য করতে পারে না বলেই বেগম জিয়াকে তিলে তিলে সচেতনভাবে হত্যা করছে। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং এই রক্তক্ষরণ যদি বেশিদিন চলে তাহলে তিনি বাঁচবেন না।”

মানবন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক সাংসদ ফজলুল হক মিলন, মোশাররফ হোসেন, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাবির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

Link copied!