রাজধানীর শাহবাগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আমরণ অনশনের ২৪ ঘণ্টা হতে চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়াতে অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশন ছাড়েনি আন্দোলনরতরা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত সোয়া ৯টার দিকে জাতীয় জাদুঘর সংলগ্ন অবস্থান কর্মসূচি ও অনশনস্থল ত্যাগ করেনি ৩৫ প্রত্যাশীরা। এদিকে সকালের দিকে ১৮-২০ জন ৩৫ প্রত্যাশী অনশনে থাকলে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭-৮ জন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়াতে মেডিকেলে নেওয়াতে বাধ্য হয়েই সেখানে অনশন ভাঙানো হয়। তা-না হলে অনেকে মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়তে পারেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর আমরা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি না মেনে কালবিলম্ব করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত কমিটি বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করলেও এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি সরকার। আমরা আর বিলম্ব চাই না, আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। আমরা চাই আজকের মধ্যে দাবি মেনে যেন প্রজ্ঞাপন জারি হয়। যতক্ষণ না দাবি মেনে নেয়া না হচ্ছে, আমাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলতে থাকবে।
৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মো. হারুন বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়নে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এভাবে আর কত? অনেক ৩৫ প্রত্যাশী অনশনে থেকে অসুস্থ হয়ে গেছেন। অনেকে জোর করেই অনশন ভাঙ্গানো হয়েছে।
এদিকে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি থেকে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান হারুন।
তিনি বলেন, আমরা অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আমরণ অনশনের কর্মসূচি পালন করছি কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়া সরকারের উচ্চ মহল থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। অবিলম্বে যেন চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়নে যেন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, সেই লক্ষ্যে আমরা মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা করছি, হয়তো শীঘ্রই দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০ বছর। বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবি একাধিকবার নাকচ করে দেয়। শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি ফের জোরালো হলে ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।