অন্যের বিষয়ে নাক গলানোর আগে নিজের নাক পরিষ্কার করে নিয়েছেন তো? না করে থাকলে জেনে নিন, নাক পরিষ্কার করার জন্যও পৃথিবীতে একটি দিবস আছে! অথচ নাক গলাতে অনেক দ্রুত ছুটলেও নাক পরিষ্কার রাখতে কতটা সচেতন আপনি?
মানবদেহের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে একটি হলো নাক। বেঁচে থাকার জন্য নাকের প্রয়োজনীয়তা তো আর কাউকে বলে দিতে হবে না নিশ্চয়ই। শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ছাড়াও এর অন্যতম প্রয়োজনীয়তা হলো ঘ্রাণেন্দ্রিয় হিসেবে।
সর্দি-ঠান্ডা লাগলেই এই যে নাসারন্ধ্র জটিলতায় ভুগতে হয় তা তো বুঝিয়েই দেয় নাকের গুরুত্ব কতটা! শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যা তো শুরু হয়ই সাথে কোনোকিছুর ঘ্রাণও পাওয়া যায় না।
এই নাকের যত্ন না নিলে কিন্তু সর্দি-কাশি হয়ে ভূতেদের মতো নাকিসুরে কথা বলতে হয় বাধ্য হয়ে। সেটা যে শুনতে খুব ভালো লাগে তা কিন্তু নয়। তাহলে দেখুন নাক কতটা গুরুত্বপূর্ণ! অতএব নাক পরিষ্কার রাখুন ঠিকঠাক!
মহামারী করোনার সময় নাকের যত্নের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কেন না ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যম নাক। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অনেকেই খাবারের ঘ্রাণ পাচ্ছিলেন না। ভাবুন তো তারা কতটা ভোগান্তিতে পড়েছিলেন!
হাত পরিষ্কার করে নাকে হাত দেওয়াটি খুব কম দেখা যায়। কিন্তু জানেন কি এ কারণে বিপদজনক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার নাকের মধ্য দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে।
এছাড়া বাইরের ধুলাবালি, ময়লা তো আছেই। বায়ু দূষণের ফলে নাসারন্ধ্রজনিত সমস্যাগুলোর সৃষ্টি হয়। নাক দিয়ে পানি পড়ে, নাক বন্ধ হয়ে আসে, নাক চুলকায়, শ্বাসকষ্ট জয়, সর্দি-হাঁচি-কাশি তো আছেই।
অনেকেই ঘুমের সময় নাক ডাকেন। এই নাক ডাকা সমস্যার পিছনেও কিন্তু নাক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাটাই কারণ। ঠিকমতো নাক পরিষ্কার রাখলে নাক ডাকার সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
নাক পরিষ্কার রাখার বিষয়টি তাই ই অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আর এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ১১ মার্চ সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘ওয়াশ ইউর নোজ ডে’ অর্থাৎ নাক পরিষ্কার করা দিবস। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লিয়ার’ নামক একটি নাক ও মুখের যত্নের পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এই দিবসটি পালন করা শুরু হয়।