বিয়ে করলে নাগরিকত্ব—কোন কোন দেশে সম্ভব?

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫, ১১:১৭ এএম

বিয়ে করলে নাগরিকত্ব—কোন কোন দেশে সম্ভব?

জন্মসূত্রে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হলেও বিশ্বায়নের এই সময়ে অনেকেই নিজ দেশের পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী। উন্নত জীবনযাত্রা, কাজের সুযোগ কিংবা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় রেখে অনেকে দ্বৈত নাগরিকত্বের পথ খোঁজেন। এ ক্ষেত্রে ভিনদেশি নাগরিককে বিয়ে করে নাগরিকত্ব অর্জনের ঘটনাও বেশ পরিচিত। আবার বিদেশে পড়াশোনা বা কর্মসূত্রে অবস্থানের সময় অনেকের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিয়েতে রূপ নেয়।

বিশ্বের এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে, যেসব দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বৈধভাবে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক—কোন কোন দেশ বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের সুযোগ দিয়ে থাকে।

তুরস্ক
তুরস্কের নাগরিককে বিয়ে করে টানা তিন বছর একসঙ্গে বসবাস করলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। তুরস্কের নাগরিকত্বের অন্যতম বড় সুবিধা হলো এর পাসপোর্ট—যার মাধ্যমে বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ছাড়াই বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধায় ভ্রমণ করা সম্ভব।

স্পেন
দক্ষিণ ইউরোপের বৃহত্তম দেশ স্পেনের আইনে বলা হয়েছে, কোনো স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করে তার সঙ্গে এক বছর বসবাস করলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। নাগরিকত্ব অর্জনের পর লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন ও পর্তুগালের মতো কয়েকটি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগও মিলতে পারে। তবে আবেদনের ক্ষেত্রে বৈধ বিয়ের সনদ ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ আবশ্যক।

আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র দুই বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন বৈধ বিয়ের প্রমাণ, অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকার সনদ এবং স্প্যানিশ ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান।

মেক্সিকো
মেক্সিকোর আইনে বলা হয়েছে, মেক্সিকান নাগরিককে বিয়ে করে টানা দুই বছর একসঙ্গে বসবাস করলে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বিয়ের বৈধ সনদ, যৌথ বসবাসের প্রমাণ এবং স্প্যানিশ ভাষার মৌলিক দক্ষতা থাকতে হবে।

সুইজারল্যান্ড
কঠোর অভিবাসন নীতির জন্য পরিচিত হলেও সুইজারল্যান্ডে বৈধ বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের সুযোগ রয়েছে। স্বামী বা স্ত্রী যদি সুইস নাগরিক হন এবং তিন বছর একসঙ্গে বসবাস করেন, তবে পাঁচ বছর পূর্ণ হলে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। দেশের বাইরে বসবাস করলেও ছয় বছরের বিবাহিত জীবন পূর্ণ হলেই আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। নাগরিকত্ব পেতে হলে দেশটির ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার রেকর্ড এবং বৈধ দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় থাকার প্রমাণ দিতে হয়। নাগরিকত্ব পেলে ইউরোপে বসবাসের সুযোগও মেলে।

কেপ ভার্ড
পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ডের নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করলে বিয়ের পরপরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

সূত্র: গ্লোবাল সিটিজেন সলিউশনস ও নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট

Link copied!