দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হাজার ৭৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে দেশে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো শতাধিক মৃত্যুর রেকর্ড গড়ল করোনাভাইরাস।
এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও আট হাজার ৪৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। দেশে মোট নয় লাখ ৩০ হাজার ৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে চার হাজার ৫০৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আট লাখ ২৫ হাজার ৪২২ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো। শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু
গত বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু। তবে শুক্রবার মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও তা অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।
নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ হাজার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫০৯জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২৫ হাজার ৪২২ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৬৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৮টি, জিন এক্সপার্ট ৪৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৯১টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ৩৮৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ১২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪টি।
বরিশালে মৃত্যু সংখ্যা কম
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে দু’জন, সিলেট বিভাগে দু’জন, রংপুর বিভাগে নয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়জন রয়েছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৬৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন তিন হাজার ১৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ১১৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৮৭ হাজার ১৭৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৯ হাজার ৮৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।