করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজারের উপরেই রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। শনিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ কোটি ৬৯ লাখ। বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা একটু কমেছে। শনিবার (১৪ আগস্ট) পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮ কোটি ৫৫ লাখের বেশি লোক। করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৪ জন মারা গেছেন। শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বে ১০ হাজার ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি শনিবার (১৪ আগস্ট) সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২০ কোটি ৬৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯৮ জন। শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বে ৭ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে, করোনায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা একটু কমেছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি শনিবার (১৪ আগস্ট) পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮ কোটি ৫৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪১৪ জন। বিশ্বে শনিবার (১৪ আগস্ট) পর্যন্ত করোনার সক্রিয় রোগী ছিলে ১ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ৮১০ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৫৮ জন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের দিক দিয়ে এখনও শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৬১ জন।
করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল।দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯১৪ জন মারা গেছেন। আর করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩ লাখ ১৯ হাজার।
মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। বাংলাদেশের প্রতিবেশি এ দেশটিতে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৬২ জন মারা গেছেন। আর করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করে।