দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন মারা গেছেন, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যু ঘটে।
গত ১৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৭৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে, যা তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে গতবছরের ১৫ ডিসেম্বর এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন মোট ১ হাজার ৮৭৭ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিবৃতিতে করোনা পরিস্থিতির সবশেষ এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক দিনে নতুন করে ২৬জনের মৃত্যুতে এপর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা মোট ৮ হাজার ৫৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৭৭৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ায় এপর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৫৯ হাজার ১৬৮ জন হয়েছে।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এরপর শনাক্ত ও মৃত্যু কখনও বাড়তে আবার কখনও কমতে দেখা যায়। তবে সর্বশেষ কয়েকদিন শনাক্ত ক্রমান্বয়ে বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৪৩২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ১৩ হাজার ১২৭ জন। এসময়ে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪২২টি, অ্যান্টিজেন টেস্ট সহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৬৯৫টি। এখন পর্যন্ত ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ২৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ এবং ৫জন জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৩ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে একজন করে ৩জন রয়েছেন। ২৬ জনই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন রয়েছেন।