দেশব্যাপী গণহারে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর দিনেই (৭ ফেব্রুয়ারি) টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন। এর কয়েকদিন পর সামান্য অসুস্থবোধ করলে ১৮ই ফেব্রুয়ারি করোনার টেস্ট করেন। পরের দিন করোনা টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলে জানতে পারেন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই ভর্তি হন হাসপাতালে।
বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। টিকা নেয়ার ১২ দিন পর তার শরীরে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. সেলিম হোসেন।
তিনি জানান, সচিব স্যার অসুস্থবোধ করলে ১৮ই ফেব্রুয়ারি করোনার পরীক্ষার নমুনা দেন। এরপর ১৯শে ফেব্রুয়ারি করোনা পজেটিভ হওয়ার খবর আসে। এর আগে, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তিনি করোনার টিকা নিয়েছিলেন। বর্তমানে তার সামান্য কাশি আছে। জ্বর নেই। শরীর দুর্বল।
এ বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ভাইরাসটির শক্তিকালীন সময় ১৫ দিন। এর আগেই তিনি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন। তিনি হয়তো টের পাননি। তার লক্ষণ প্রকাশ পায়নি। কিন্তু তিনি সংক্রমিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, টিকার একটি কার্যকর সময় আছে। ৭ দিন পর অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হয়। তার মানে এমন নয় যে তিনি আর সংক্রিমত হবেন না। তবে ধীরে ধীরে অ্যান্টিবডি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ব্যক্তিকে সুরক্ষা দিবে।