জুন ১৮, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পুনর্বিবেচনা না করলে আবাসন শিল্পে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করেছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর নেতৃবৃন্দ।
আজ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন এ দাবি জানান। সেসময় অপ্রদর্শিত অর্থ বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্তেখাবুল হামিদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) কামাল মাহমুদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ নজরুল ইসলাম (দুলাল), ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ লায়ন শরীফ আলী খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা এবং পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দসহ বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতিতে আবাসন শিল্পের বিভিন্ন অবদান তুলে ধরে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের বেসরকারী উদ্যোক্তাদের একান্ত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা এ খাত সম্প্রতি নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে। উদীয়মান এই খাতে নানা রকম কর আরোপ ও সরকারের নীতি সহায়তার অভাবে ক্রমেই দেশের আবাসন খাত মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে।
বক্তারা বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিসহ অনেকের বাসস্থানের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। একের পর এক সমস্যা এই শিল্পকে সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের আশু পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই সংকট উত্তরণ অসম্ভব। নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি সহ নানা কারণে সমগ্র গৃহায়ন খাতের বিক্রয় পরিমাণ প্রায় হ্রাস পেয়েছে। এই মুহূর্তে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তবে দেশের অর্থনীতিতে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমাদের শংকা।
সংগঠনের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, রিহ্যাব এর বাজেট প্রস্তাবনায় আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলাম স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থনীতির মূল ধারায় এসেছে। সরকার ২ হাজার কোটি টাকার উপরে রাজস্ব পেয়েছে। অথচ তার আগের অর্থবছরে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ না থাকায় দেশে বিনিয়োগ কম হয়েছে। এসব কারণে ২০২১ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
এছাড়া রিহ্যাবের সভাপতি আরও কিছু দাবি জানান। এসব দাবির মধ্যে- বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘হাউজিং লোন’ নামে ২০ হাজার কোটি টাকার রিফিন্যান্সিং তহবিল গঠন, জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ব্যয় হ্রাস, সেকেন্ডারি বাজার ব্যবসা সৃষ্টির সুযোগ তৈরি এবং নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য হ্রাস।