জুন ৪, ২০২২, ১০:৫৭ পিএম
দেশে কার্যকর এভিয়েশন সেক্টর ছাড়া বাংলাদেশ আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন উড়োজাহাজ অপারেটর মালিক ও বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে তারা বলেন, অতি উচ্চ হারে জেট ফুয়েলের নিয়মিত দাম বৃদ্ধি, খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিশাল বাধা, অতিরিক্ত শুল্ক এবং বিভিন্ন অংশে কর আরোপের মতো কয়েকটি প্রধান কারণে দেশের বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা টিকে থাকতে পারছে না।
এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম বিষয়ক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন বাংলাদেশ মনিটর 'প্রসপেক্ট অব বাংলাদেশ এভিয়েশন হাব' শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ, বিপণন ও বিক্রয়) জাহিদ হোসাইন এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম নজরুল ইসলাম আলোচনায় অংশ নেন।
নভোএয়ারের এমডি মফিজুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে অভ্যন্তরীণ খাতে যাত্রী সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ লাখ এবং ২০১৯ সালে যাত্রী সংখ্যা ৩০ লাখে উন্নীত হয়।
তিনি বলেন, যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির হারের জন্য বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা অবদান রেখেছে। বিভিন্ন কারণে দেশের বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা শক্ত অবস্থানে দাঁড়াতে পারেনি। এর মূল কারণ জেট ফুয়েলের উচ্চ হার, খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিশাল বাধা, বিভিন্ন অংশে অত্যধিক শুল্ক এবং কর। যাত্রীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে একটি স্বাধীন 'বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট অথরিটি' গঠনের জোরালো দাবি জানান।