কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজার বায়োএনটেকের ১০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে টিকার চালান নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টিকার চালান গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। এ যাবত যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে মোট ৬৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিলো।
এসময় রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কেবল ৬৫ লাখ টিকাই অনুদান দেয়নি, সঙ্গে মহামারি মোকাবিলায় নয় কোটি ৬০ লাখ ডলার সহায়তাও প্রদান করেছে।
এদিকে ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ফাইজারের টিকা গ্রহণ করা হয়েছে। টিকাগুলো সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কোল্ডস্টোরেজ ভবনসহ আরও কয়েকটি বেসরকারি ভবনে সংরক্ষণ করা হবে।
এর আগে গত ৩১ মে এক লাখ ৬০২ ডোজ ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা দেশে পৌঁছায়। এরপর গত ২১ জুন থেকে এই টিকা দেওয়া শুরু হয়।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছিল, ফাইজারের এই বিশেষ টিকা কেবল ঢাকাতেই সংরক্ষণ করা হবে। মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটা রাখতে হয়।
উল্লেখ্য, দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) কাছ থেকে ফাইজারের এ টিকা আসছে। প্রাণঘাতী ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবন রক্ষায় টিকা প্রদানে ভূমিকা রাখা গ্যাভি বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোর টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স।