ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৪:৫৬ পিএম
বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও মজবুত করার লক্ষ্য নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে ঢাকা সফরে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সুসম্পর্ক রাখাসহ ঢাকার নতুন সম্ভাবনাগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটন কাজ করতে চায় বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের উপদেষ্টা ডেরেক শোলে। গত মাসে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরের এক মাসের মাথায় বাংলাদেশে এলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেরে প্রভাবশালী এই কূটনীতিক।
ডেরেক শোলের সফরের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা খুব ভাগ্যবান যে, অনেক দেশের নামজাদা কূটনীতিকরা এসেছেন। আপনি (সাংবাদিক) আমেরিকার কথা বলছেন— আমেরিকার সাতজন অত্যন্ত সিনিয়র কূটনীতিক এসেছেন। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। ওরা এসেছেন আমাদের সঙ্গে তাদের দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য। যত ধরনের ভুল বোঝাবুঝি আছে, সব দূর করে অত্যন্ত শক্ত ভিত্তির ওপর আমাদের উভয় দেশের সম্পর্ক।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সফলতার প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশকে মিরাকল দেশ হিসেবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, এই মিরাকল দেশের সঙ্গে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সুসম্পর্ক রাখতে চান। আর এখানে নতুন নতুন যে সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত হতে চান, সে জন্য এসেছেন।:
দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ দূতের ঢাকা সফরের বিষয়টি নজরে আনতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে উন্নয়নশীল মানে র্যাপিডলি ডেভেলপিং কান্ট্রি। আর এখানে বহু ধরনের সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো তারা যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, সে জন্য তিনিও এসেছেন।”
ড. মোমেন একই সময়ে ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফর নিয়েও কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো একই বার্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য সবাই এসে আমাদের প্রশংসা করেছেন। আর আমাদের দেশে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। এ জন্য আমরা খুব খুশি।”