ফাইল ফটো
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে রোহিঙ্গারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ কারণে অনেকে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।
সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রাখাইনের কয়েকটি গ্রামে গোলাগুলি শুরু হয়, যা টেকনাফের হ্নীলা সীমান্ত এলাকার বিপরীতে অবস্থিত। টানা গুলির শব্দ শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত শোনা যায়, যা বাংলাদেশের দিক থেকেও শোনা গেছে।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তসংলগ্ন ‘নারকেল বাগান’ এলাকায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়।
ওই হামলায় প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি সীমান্তচৌকি দখলের চেষ্টা চালায়। তারও ১০ দিন আগে একই এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত টানা সাত ঘণ্টা ধরে গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে যাওয়া জেলে এবং সীমান্ত জনপদে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে।
তবে গুলি বাংলাদেশের ভেতরে আসেনি। নিরাপত্তার স্বার্থে নাফ নদীতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়।
সীমান্তের একাধিক সূত্র বলছে, সম্প্রতি আরাকান আর্মির ওপর হামলা চালাচ্ছে আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা), আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ) সহ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।
এসব সংঘাতে বহু রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জানা গেছে, কয়েক হাজার রোহিঙ্গা মংডু শহরের কাছে নাফ নদীর তীরে অবস্থান করছে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়।
শুক্রবার টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ৬২ জন রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছে বিজিবি।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “সীমান্তের ওপারে হাজারো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি নদী ও স্থলসীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”