উগ্রবাদ ছড়ানোর চেষ্টা হতাশা তৈরি করছে: মির্জা ফখরুল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম

উগ্রবাদ ছড়ানোর চেষ্টা হতাশা তৈরি করছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনার মাঝে তৈরি হওয়া তর্কবিতর্ক মাঝে মাঝে হতাশার সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে তর্কবিতর্ক স্বাভাবিক হলেও কখনও কখনও তা জনগণের মধ্যে হতাশা জন্মায়।

শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে “সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণকালে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন। সভার আয়োজক ছিল বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের সংগঠন অর্পণ আলোক সংঘ।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি যখন প্রগতিশীল সমাজ, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা এবং বৈষম্য কমানোর সঠিক ব্যবস্থা দেখতে চাই, তখন যদি দেখি যে মানুষের চিন্তাভাবনা অন্যদিকে মোড়ানো হচ্ছে এবং উগ্রবাদ ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, তা স্বাভাবিকভাবেই হতাশা সৃষ্টি করে। তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র কাঠামোতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন বা অস্থায়ী উদ্যোগ দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; এজন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও লক্ষ্য প্রয়োজন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং কৃষিএই ক্ষেত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত এবং রাষ্ট্র কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, দেশের শাসন ব্যবস্থাও নির্ভর করে জনগণ কাদের নির্বাচিত করছে এবং নির্বাচিতরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করছে।

গত ১৫ বছরে আয়ত্তাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে সর্বস্বান্ত করেছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি সতর্ক করে বলেন, এক বা দেড় বছরের মধ্যে এই ক্ষতি পূরণ সম্ভব নয়। রাজনৈতিক সংকটের পেছনে দুর্নীতিকেই প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্থানীয় দায়িত্বসমূহ প্রায়শই সংসদ সদস্যরা দখল করছেন এবং আইন প্রণয়নের পরিবর্তে রাস্তা বা ভবন উন্নয়ন, এমনকি যানবাহন কেনার মতো বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন।

সভায় মির্জা ফখরুল আরও উল্লেখ করেন, সরকারি আমলারা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণে থাকায় অনেক সময় দায়িত্বশীল উপদেষ্টারাও অসহায় হয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ, নার্স নিয়োগ প্রায়শই ঘুষের মাধ্যমে হচ্ছে, যা পুরো সিস্টেমের সমস্যা নির্দেশ করে।

Link copied!