ফাইল ফটো
চার মাসের বিরতির পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি আবার শুরু হয়েছে। প্রথম চালানের মাধ্যমে ৯টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ৩১৫ টন চাল দেশে এসেছে।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০:৩০ মিনিটে এই চালান বেনাপোলে পৌঁছায়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, আমদানিকৃত চালের নমুনা বৃহস্পতিবার রাতেই সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে এবং দ্রুত সনদ প্রদান করা হয়েছে যাতে দ্রুত ছাড়করণ সম্ভব হয়।
তিনি আরও জানান, এ বছরের ১৫ এপ্রিল বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে সর্বশেষ চাল আমদানি করা হয়েছিল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজি মুসা করিম অ্যান্ড সন্স-এর স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ বলেন, প্রতি কেজি চালের আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে ০.৪০৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১ টাকার সমান। বাজারজাতকালে পরিবহন, কর ও গুদামভাড়া সংক্রান্ত খরচও যুক্ত হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৩১৫ টন চালবাহী ৯টি ভারতীয় ট্রাক মঙ্গলবার থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অপেক্ষা করছিল।
পরে এই চালান বৃহস্পতিবার রাতে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পেট্রাপোল বন্দরে আরও চালবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে। বেনাপোল কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়া হয়েছে এবং চাল ছাড়ের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করার জন্য আবেদন আহ্বান করে। চলতি পর্যায়ের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল ২৩ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত।
তিনি জানান, বেনাপোলের আমদানিকারকরাও অনুমতির জন্য আবেদন করেন এবং অনুমোদন পাওয়ার পর চার মাস বন্ধ থাকার পর আবারও বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।