এপ্রিল ১৮, ২০২২, ০১:৫২ পিএম
খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি 'অনিচ্ছাকৃত' উল্লেখ করে এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ। সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার অবস্থান তুলে ধরেন।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, “গতকালের আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ-বাক্য উচ্চারণ করে থাকি, তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। একইসঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে যেন কোনো ধরনের ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী সকলের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।”
“আলোচনাকালে মুজিবনগর সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তা উল্লেখ করি এবং মুজিবনগর সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আমার বক্তব্যের একপর্যায়ে মুজিবনগর সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুলাঙ্গার এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তীকালে জাতির সঙ্গে বিশ্বঘাতকতাকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোস্তাক আহমেদের প্রতি আমি আমার ব্যক্তিগত ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করি”, যোগ করেন তিনি।
এর আগে, মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আওয়ামীপন্থি নীল দলের নেতা অধ্যাপক এম রহমত উল্লাহ বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ বলেন, “আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের জাতীয় চার নেতা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।”
এ বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আলোচনা সভায় প্রতিবাদ জানান ঢাবির উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। অধ্যাপক সামাদ এই বক্তব্যের এক্সপাঞ্জ দাবি করেন।