শারীরিক উপস্থিতিতেই এখন বিচার কার্যক্রম চলবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২০, ২০২১, ০১:৩৬ এএম

শারীরিক উপস্থিতিতেই এখন বিচার কার্যক্রম চলবে

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে শারীরিক উপস্থিতিতে রবিবার (২০ জুন) থেকে স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। শনিবার রাতে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, ‘অধস্তন সকল দেওয়ানি ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে আগামী ২০ জুন থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’

তবে যেসব এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেসব এলাকায় ভার্চুয়ালি বিচার কাজ পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।

দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ ঘোষনা করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশে গত ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন পৃথক এক আদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি জামিন ও রিমান্ড শুনানি করতে দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। 

পরবর্তীতে ধাপে ধাপে কিছু কিছু আদালতের বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে আদেশ জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল আগের মতোই স্বাভাবিক করে দেওয়া হলো নিম্ন আদালত। তবে এক্ষেত্রে গতবছর ৩০ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত নিদের্শনা প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় প্রশাসন কোনো জেলা সদর/মহানগরে করোনা ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধি-নিষেধ জারি করা হলে সংশ্লিষ্ট জেলার/মহানগরের দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও জরুরি দরখাস্ত শুনানি করা যাবে।’

আদেশে আরো বলা হয়, ‘দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলায় যে ক্ষেত্রে আদালতে পক্ষগণের উপস্থিতির আবশ্যকতা নেই সেক্ষেত্রে পক্ষগণের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতে হাজিরা দাখিল করবেন। জামিন শুনানি এবং আমলি আদালতে ধার্য তারিখে হাজিরার জন্য কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনভাবে আদালত প্রাঙ্গণে বা এজলাস কক্ষে হাজির করার আবশ্যকতা নেই।’

আদেশে বলা হয়, ‘আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার প্রথম ভাগে (সকাল ৯:৩০ ঘটিকা হতে সুপুর ১:১৫ ঘটিকা) সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক/আপিল/রিভিশন/রিভিউ শুনানি এবং দ্বিতীয় ভাগে (দুপুর ২:০০ ঘটিকা হতে বিকাল ৪:৩০ ঘটিকা) জামিন সংক্রান্ত বিবিধ মামলা, জামিনের দরখাস্ত ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তসহ অন্যান্য দরখাস্ত শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

 

Link copied!