গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের ‘হাফ পাস’ বা অর্ধেক ভাড়া মানা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাস মালিকরা। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বিআরটিএ অডিটোরিয়ামে সচিবদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আপাতত মালিকরা হাফ পাসে রাজি নন বলে জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
পড়ুন: 'হাফ ভাড়ার' বিষয়ে বাস মালিকপক্ষকে যা বলল বিআরটিএ
শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবির প্রেক্ষিতে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও বাসমালিক কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বিআরটিএ অডিটোরিয়ামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষ হয়।
বেসরকারি বাসে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে না উল্লেখ করে বৈঠকে বাস মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যানজটের কারণে সড়কে ট্রিপ কমে গেছে। গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগরে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস চালু করা হলে বাসমালিকদের লোকসান গুনতে হবে।
তবে তারা জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে বাসে হাফ ভাড়ার বিষয়ে তাদের একটি প্রস্তাব তুলে ধরবে সরকারের কাছে।
এ প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদেরকে গণপরিবহনে কতটুকু ভাড়া ছাড় দিলে ক্ষতি নেই, তা সাত দিনের মধ্যে আলোচনা করে প্রস্তাব দিতে মালিকপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, সভার সূচনা বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা বাসে হাফ ভাড়া নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের এই দাবিটি আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি। এ বিষয়ে সবার মতামত প্রয়োজন।”
আমরা পরিবহন মালিক সমিতিকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে একটি যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলেছি জানিয়ে মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রস্তাব আমাদের কাছে দেবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে বলা হয়েছে, তারাও তাদের একটি প্রস্তাব আমাদের কাছে দেবেন। সব পক্ষ দ্রুত প্রস্তাব জমা দেবে।”
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে অংশ নেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধি ও শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা।