সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট ও মন্দিরে আগুন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৬, ২০২২, ০২:৩৯ পিএম

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট ও মন্দিরে আগুন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে নড়াইল জেলার লোহাগড়ায় স্থানীয় একটি বাজারে উত্তেজিত জনতা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তারা চারটি বাড়িঘরে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও নগদ অর্থসহ স্বর্ণের গহনা লুট করে নিয়ে যায় এবং মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

স্থানীয় ও লোহাগড়া থানা সূত্র জানায়, দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ার অশোক সাহার ছেলে আকাশ সাহা ফেসবুকে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জনগণ আকাশকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করে। পরে উত্তেজিত জনতা দিঘলিয়া বাজারের নিত্য দুলাল সাহা, অনুপ সাহা, অশোক সাহা, সনজিদ সাহার মুদি দোকান এবং গোবিন্দ কুণ্ডু ও গৌতম কুণ্ডুর মিষ্টির দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

এ ছাড়া, সাহাপাড়ার গৌরসাহা, চায়না রানী সাহা, বিপ্লব সাহার বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ এবং স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।উত্তেজিত জনতা গোপালের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাট করে। রাত ৯টার দিকে আখড়াবাড়ী সার্বজনীন পূজামণ্ডপে আগুন ধরিয়ে দেয়।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শনিবার সকালে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “দিঘলিয়া বাজারের এক ব্যবসিায়ীর ছেলের বিতর্কিত ফেসবুক পোষ্টকে ঘিরে  স্থানীয় জনগণ বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাত সাড়ে ৯টা দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি জানান।

লোহাগড়ার ইউএনও আজগার আলী গণমাধ্যমকে জানান, “অভিযুক্ত আকাশ পলাতক থাকায় তার অবস্থান জানার জন্য তার বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”

Link copied!