কনিষ্ঠ ভ্রাতা শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট্ট রাসেল তখন সেনা সদস্যদের দেখত, বড় হয়ে সেও সেনা সদস্য হতে চাইত। টুঙ্গিপাড়ায় গেলে সে সমবয়সী শিশুদের জড়ো করত। তাদের প্যারেড করাত। তারপর চাচার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শিশুদের হাতে ১ টাকা করে দিত। মা ওইসব শিশুদের জন্য চকলেট-বিস্কুট নিয়ে যেতেন। এ ছাড়া নতুন জামা-কাপড় নিয়ে যেতেন। রাসেল সেগুলো ওই শিশুদের দিত। সেই রাসেলসহ আমার পুরো পরিবারকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন অনেকে মানবাধিকারের কথা বলি। কত মানবাধিকার সংগঠন, সেদিন কোথায় ছিল। আমার মানবাধিকার হলো, আমার মা-বাবা-ভাই হত্যার বিচার পাওয়া। আমাদের নিজেদের সেটা সমাধান করতে হলো। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ শেখ রাসেল এবং যারা যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে অভিশাপমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। বিচারহীনতার কালচার থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে।
আমার একটাই লক্ষ্য এ দেশের মানুষ যেন একটা সুন্দর জীবন পায়, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন সুন্দর হয়। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যেন মর্যাদার স্থান পায় বলে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।