সে একজন ড্রাগ অ্যাডিক্ট, তাকে রিহ্যাবে পাঠানো দরকার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৩, ২০২২, ১০:৫৭ পিএম

সে একজন ড্রাগ অ্যাডিক্ট, তাকে রিহ্যাবে পাঠানো দরকার

বাসায় নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক মারিজুয়ানা রাখার অভিযোগে দেশে ফিরিয়ে আনা ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত উপপ্রধান কাজী আনারকলি একজন ড্রাগ অ্যাডিক্ট, তাকে রিহ্যাবে পাঠানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তর্মানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সফর করছেন। কাজী আনারকলি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বুধবার একটি সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে বাংলাদেশের ‘বদনাম’ করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

কূটনীতিক কাজী আনারকলির কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি ইন্দোনেশিয়া গিয়েছিলাম। ওই সময় আমাদের রাষ্ট্রদূত পুরো ঘটনাটা বলেছেন। সে (আনারকলি) একজন ড্রাগ অ্যাডিক্ট। তাকে রিহ্যাবে (মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র) পাঠানো দরকার। দেশের বদনাম করে ফেলেছে। আমি তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে বলেছি। রাষ্ট্রদূত তাকে ফেরত পাঠায়।”

ইন্দোনেশিয়ানরা খুব ভদ্রলোক উল্লেখ করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, “ বিপুল পরিমাণ মারিজুয়ানাসহ হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও তা বাইরে প্রকাশ করেনি। এখন রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে পুরো রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” তার অপকর্মের পুরোনো ইতিহাস আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে, আনারকলির আটক বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে সরকার। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসকে প্রধান করে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ (বুধবার) থেকে তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করছে।

প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কাজী আনারকলি ২০তম বিসিএসের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ তাঁর বাসায় তল্লাশি চালিয়ে নাইজেরিয়ার এক নাগরিকসহ মাদক দ্রব্য মারিজুয়ানা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাকেসহ ওই নাইজেরিয়ান নাগরিককে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে ইন্দোনেশিয়ান পুলিশ। পরে বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যস্থতায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।  

Link copied!