হাফ ভাড়া নিয়ে বিআরটিএ-সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি নির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্তে আসেনি। আজকে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে জানা যায়, গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেয়ার বিষয়ে বেশ কিছু দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে।
সম্মেলনের সিদ্ধান্ত সরাসরি দেখুন
ক্ষতিপূরণ দাবি মালিকসমিতির
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ঢাকায় বেশিরভাগ বাসই ব্যক্তিমালিকানাধীন। ফলে হাফ ভাড়া নেয়ার সিদ্ধান্ত হলে বাসমালিকরা লসের সম্মুখীন হতে পারেন। সরকারের পক্ষ থেকে এ ক্ষতি পূরণ করার উদ্যোগ কিভাবে নেয়া হবে আমরা সে বিষয়ে জানতে চেয়েছি।
বৈঠকে উপস্থিত পরিবহন মালিক সমিতির একজন বলেন, এদেশে পরিচয়পত্র জাল করা খুব কঠিন কিছু না। ফলে হাফ ভাড়া নেয়ার বিষয়ে আইন করা হলে দেখা যাবে অছাত্ররাও পরিচয়পত্র জাল করার মাধ্যমে সুযোগ নিচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়েও আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে একজন ছাত্রকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে।
দায়িত্ব বাসমালিকদের নয়?
বৈঠকে উপস্থিত পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্ব তো শুধু বাস মালিকদের নয়। সরকার তো শিক্ষার্থী বা শ্রমিকদের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করছে না। করোনাকালীন দীর্ঘ সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো, এ খাতে টিউশন ফি কমিয়েও তো শিক্ষার্থীদের সমস্যার কিছুটা সমাধান করা সম্ভব।
এছাড়াও, সড়কে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য আরও বেশ কিছু দিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সে ব্যাপারে প্রণোদনাসহ নানা ধরণের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সংবাদ সম্মেলনে জানান।
প্রায় দুই ঘন্টা বৈঠক চলে
বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া চালুর বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। শনিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে ১ টা ৪০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।