আগস্ট ১, ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিন ভোট চলাকালে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দেওয়া কূটনীতিকদের বিবৃতিকে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন মনে করেন না বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পিটার হাস বলেন, “অন্য দেশগুলো যখন আমাদের অভ্যন্তরীণ ও রাজনৈতিক বিষয় উত্থাপন করেন, তখন আমরা তাদের কথা শুনি। আমরা দেখি তাদের কাছে কি শেখার আছে। আমরা এটাকে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন মনে করি না।”
এর আগে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেওয়ায় গত বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ১২ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারদের তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ না করে কূটনীতিকদের এমন আচরণ পারস্পরিক আস্থার সংকট তৈরি করবে।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটের দিন হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। পরে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইডেনসহ ১২টি পশ্চিমা দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশন এবং ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল যৌথ বিবৃতি দেয়।
গত ১৯ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিৃবতিতে বলা হয়, ‘১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার দাবি জানাই। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’
যেসব দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে সেগুলো হলো- কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন।