মে ১৮, ২০২১, ০৩:২৪ পিএম
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের তোলা নথিপত্রের ছবি প্রকাশ পেলে কয়েকটি দেশ থেকে টিকা পাওয়া অনিশ্চিত হতো বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার ব্যাপারে কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। সেই নথিপত্রের ছবি তুলেছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। সেই নথি প্রকাশ হলে টিকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়তো এবং কয়েকটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হতো।’
তিনি বলেন, ‘তারপরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সচিবালয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখার সময় সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম জানিয়েছিলেন তাকে ওই কক্ষে যেতে বলা হয়েছিল।
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ যেখানে রাষ্ট্রীয় ফাইল রাখা আছে, যতদূর আমি জানি সেখানে কেউ ছিল না। খালি রুম ছিল। খালি রুমের মধ্যে লোক ঢুকেছে। সেটা যদি কোনো ট্রাপে ফেলা হয়, কেউ যদি অন্যায় করে, সেটা তো সামনে বেরিয়ে আসবে। কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যদি কেউ কোনো রকমের অন্যায় করে থাকে, সেই অন্যায়ের ব্যবস্থা আমরা নেব।’
রোজিনা ওই কক্ষে কেন গিয়েছিলেন-সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে জাহিদ মালেক বলেন, ‘যেখানে কনফেডেন্সিয়াল ফাইল আছে, সেখানে কেউ কাউকে জোর করে নিতে পারে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে তা আইনগতভাবে প্রমাণ হয়ে যাবে।’
একজন অতিরিক্ত সচিব কেন রোজিনার গলা চেপে ধরেছিলেন-এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। তবে আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি একজন অতিরিক্ত সচিব। আমাকে তিনি টেলিফোনে বলেছেন, তিনি রোজিনাকে শারীরিক নির্যাতন করেননি, বরং রোজিনা তার উপর হামলা করেছিল।’
আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে এটা ভুল। ঘটনার সময় সেখানে বিভিন্ন পদস্থ পাঁচ-ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার আধাঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এসেছে।’