আগস্ট ৩০, ২০২৪, ০৮:০০ এএম
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলার ১ লাখ বাসিন্দা বন্যার পানিতে আটকা রয়েছেন। এ-অবস্থায় খাবার বা বিশুদ্ধ পানির অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। জানা গেছে, কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী থেকে আসা বন্যার পানির কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে। এতে হাজারো পরিবার চরম দুর্দশায় পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) পর্যন্ত সবশেষ খবর অনুযায়ী চাঁদপুরের সব গ্রাম, রাস্তা ও কৃষিজমি পানির নিচে তালিয়ে গেছে। অনেক বাড়ি হাঁটু পরিমাণ পানিতে ডুবে গেছে। বিশেষ করে গবাদি পশু ও পোল্ট্রি খামারিরা খুব কঠিন সময় পার করছেন।
শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, ৫৫ হাজারেও বেশি মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছেন। সেই সঙ্গে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে ১০টি ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও অনেক বাসিন্দা প্রয়োজনীয় সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ জানান, কিছু মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও সংকটাপন্ন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যায় এখনও ১৯ জনের প্রাণহানি, পানি নামলেও রয়েছে জলাবদ্ধতা
বন্যার পানিতে আটকা পড়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম কষ্টে রয়েছেন। অনেকে রান্না করার জন্য বা খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারছেন না। এদিকে শুকনা খাবার সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় খাদ্য ও পানযোগ্য বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।
পিপুলকরা গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া জানান, তাদের ঘর ১০ দিন ধরে পানির নিচে রয়েছে। অনেকেই উচ্চতর এলাকায় আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু অন্যরা এখনও প্লাবিত অবস্থায় বসবাস করছেন।
একই উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজশ্রী গ্রামের বাসিন্দা আনাম মিয়া জানান, এক সপ্তাহ ধরে তার বাড়ি পানির নিচে রয়েছে। এ-অবস্থায় একটি স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।