জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে ইসি পুনর্গঠনসহ ড. কামালের ৬ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৩০, ২০২৩, ০২:২০ এএম

জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে ইসি পুনর্গঠনসহ ড. কামালের ৬ প্রস্তাব

সংগৃহীত ছবি

আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলা সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন গণফোরাম(একাংশের) সভাপতি ড. কামাল হোসেন। পাশাপাশি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তিনি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন(ইসি) পুনর্গঠনসহ ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণফোরামের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।

দলের আলোচনা সভায় ড. কামাল  বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। ব্যক্তি, সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় বাধা দেওয়া যাবে না।”

নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে নির্বাচনকালীন সরকার বাধ্য থাকবে উল্লেখ করে গণফোরাম সভাপতি আরও বলেন, “বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।”

ড. কামাল হোসেন বলেন, “আমরা এমন জাতীয় সংসদ চাই, যা জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে, এমন নির্বাহী বিভাগ চাই যারা জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করবে, এমন বিচার বিভাগ চাই যারা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। এ জন্য দরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক একটি নির্বাচিত সরকার।”

ড. কামাল হোসেনের ৬ দফা প্রস্তাব হলো-

১.  রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার গঠন;

২. নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন;

৩. সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ও তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে বাধা না দেওয়া;

৪. সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা;

৫.বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা এবং

৬. নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।

Link copied!