ডলফিন সমীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ সময় দেশে মন্ত্রণালয়ের পরিচালিত সমীক্ষার দেশে প্রায় ৬৩৬টি দল বা ১ হাজার ৩৫২টি গাঙ্গেয় ডলফিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বন ভবনে ‘নদীর প্রাণ ডলফিন-শুশুক, নিরাপদে বেঁচে থাকুক’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক বিশেষ আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, দেশের নদী ও জলাশয়ে মিঠাপানির ডলফিনের উপস্থিতি আমাদের পরিবেশের স্বাস্থ্য নির্দেশ করে। ডলফিন টিকিয়ে রাখতে নদী ও জলাশয়ের দূষণ রোধ এবং পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারের পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ডলফিন রক্ষায় স্থানীয় জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
এ সময় তিনি বন রক্ষায় বন কর্মকর্তাদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে যেকোনো সমস্যা হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বন কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য তার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। তাদের ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো বন বিভাগের প্রধান দায়িত্ব। গাছ কাটার বিরুদ্ধে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনরক্ষীদের সোচ্চার থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা ডলফিন রক্ষায় সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যত করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও ডলফিনের প্রদর্শনী ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ও সুফলের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় এবং বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ প্রমুখ।