পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। আজ দুপুর ১টার মধ্যে শিক্ষার্থীরা প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি এই সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। বেলা দেড়টার দিকে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে বেলা দুইটার দিকে আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে যান।
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি আজ পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা গেছে।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সচিবালয়ে বলেন, “গণ-আন্দোলন থেকে পদত্যাগের দাবি উঠলে সেটিকে কতটুকু সম্মান প্রদর্শন করতে হয়, সেটা প্রধান বিচারপতি বুঝতে পারবেন বলে প্রত্যাশা থাকবে।”
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে, ফুল কোর্ট সভা ভার্চুয়ালই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সকাল সোয়া ১০টার ফুল কোর্ট সভা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ফুল কোর্ট সভা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তাঁর ফেসবুক পেজে সকালে স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ ও ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করার দাবি জানান ।
এর আগ, কোটা সংস্কার নিয়ে গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, হাইকোর্টের দেওয়া রায় নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানিতে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, “রাস্তায় এত আন্দোলন কিসের শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?”