মার্চ ২৬, ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
“একাত্তর ও চব্বিশ আলাদা কিছু নয়। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই একাত্তরের স্পিরিট পুনর্জ্জীবিত হয়েছে” বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান নাহিদ ইসলাম।
বুধবার, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, “একাত্তরে আমরা যা চেয়েছিলাম, তা ৫৪ বছরে অর্জিত হতে পারে নাই বিধায়ই আরেকটি গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজন হয়েছিলো।”
“একাত্তরে যে সাম্যের কথা বলা হয়েছিলো, চব্বিশে সেই বৈষম্যহীন সমাজের কথাই আমরা বলছি। ফলে যারা এটিকে পরস্পরবিরোধী বা মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য অসৎ,” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তার মতে, এই ‘অসৎ উদ্দেশ্যধারী’রা “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে প্রকৃতভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি। এই যে তরুণরা নেমে এসেছে, এই সময়ের বার্তাকে তারা ধারণ করতে পারছে না।”
বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের পথ ধরে হাঁটলে “গণতন্ত্রের পথে জাতির একটি উত্তরণ ঘটবে” উল্লেখ করে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “কোনও একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই যদি সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তা মেনে নেওয়া হবে না।”
“দেখতে পাচ্ছি, পুরনো সংবিধান ও বন্দোবস্তকে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭১-এর সংগ্রাম, ‘৪৭-এর আজাদীর লড়াই– এই সবকিছুর ভেতর দিয়ে যে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেতে চেয়েছিলাম, তার একটি সুযোগ ও সম্ভাবনা গণঅভ্যুত্থানের পরে তৈরি হয়েছে।”
কেবল ক্ষমতার লোভে সেই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে নষ্ট না করার আহ্বান জানান তিনি।
“বর্তমানে একদিকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিচার ও সংস্কার প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে এক ধরণের নির্বাচনকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, ফ্যাসিস্ট শক্তির পুনর্বাসনের জন্য নানা ধরনের পায়তারা চলছে।”
কিন্তু এই সবকিছুকে জাতীয় নাগরিক পার্টি ‘প্রতিহত’ করবে বলে জানিয়েছেন এই তরুণ নেতা।