আগস্ট ১৬, ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)। অভিযানকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অগাস্ট) করপোরেশনের আওতাধীন কলাবাগান, পশ্চিম রাজারবাগ, সবুজবাগ, বি. কে. গাঙ্গুলী লেন, বংশাল, কাজী আলাউদ্দিন রোড, নাজিরা বাজার, পশ্চিম জুরাইন, আমুলিয়া ১ নং রোড, গ্রীন মডেল টাউন, মান্ডা, পূর্ব ডগাইর, বড়ভাঙ্গা, ডেমরা, রসুলপুর ও উত্তর দনিয়া এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়নি।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রাজারবাগ ও সবুজবাগ এলাকায় ৫২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ২টি বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৩৩ নম্বর ও ৩৪ ওয়ার্ডের বি. কে. গাঙ্গুলী লেন, বংশাল, কাজী আলাউদ্দিন রোড ও নাজিরা বাজার এলাকায় ৫৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম জুরাইন এলাকায় ৫৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩ স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী শুভাশিস ঘোষ ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের আমুলিয়া ১ নং রোড এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
সাত অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ উদ্দিন ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীন মডেল টাউন ও মান্ডা এলাকায় ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ডগাইর, বড়ভাঙ্গা ও ডেমরা এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
দশ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর ও উত্তর দনিয়া এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পেলে ১ মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। আদালত এ সময় বাকী ২টি স্থাপনাকে সতর্ক করেন।
অভিযানে সর্বমোট ৩৭৯টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ মামলায় সর্বমোট ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।