২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পর দলটি গত রবিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের সড়ক, রেল, নৌপথসহ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
বিএনপির ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার। জানা গেছে আজ (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আবার নতুন কর্মসূচি নিয়ে আসছে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী ৩৭ দল।
শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে রবিবার থেকে দেশজুড়ে আবার টানা রাজপথ-রেলপথ-নৌপথে অবরোধের পাশাপাশি হরতাল কর্মসূচিও দিতে পারে বিএনপি।
দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারই পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বক্তব্য এবং নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা, শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার ও সাজার ঘটনাগুলোয় আরও স্পষ্ট হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটা আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে সরকার।
ইতিমধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও নেতাদের গ্রেপ্তারে তাঁদের বাসাবাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেপ্তার ও আত্মগোপন নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি করে কি না, তা নিয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা সংশয় তৈরি করছে।
মাঠপর্যায়ের নেতারা-কর্মীরা যাতে ভড়কে না যায়, সে জন্য কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন অনেকে। কর্মসূচিতে বিরতি দিলে মাঠের নেতা-কর্মীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যেতে পারে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তফসিল পর্যন্ত কঠোর কর্মসূচির পক্ষে অধিকাংশ নেতা-কর্মী।