সেদিন মরে গেলে আজ আমার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী হতো : আশরাফুল আলম খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২১, ২০২৩, ১১:৪২ পিএম

সেদিন মরে গেলে আজ আমার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী হতো : আশরাফুল আলম খোকন

ছবি: প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেদিনের হামলার ঘটনাটি স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত ভেরিফাইড একাউন্টে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়া তৎকালীন সময়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।

তিনি লেখেন, ‘সেদিন মরে গেলে আজ আমার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী হতো। শরীরে শত ক্ষত নিয়ে হলেও এখনো বেঁচে আছি, আলহামদুলিল্লাহ। নতুন প্রজন্ম, যাদের বয়স ত্রিশের নিচে, তারা হয়তো শুধু ঘটনার ভয়াবহতা জানে, এর নেপথ্য নায়কদের কথা খুব কমই জানে।

May be an image of 14 people and text

রাষ্ট্র নিজে সেদিন সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হয়েছিল। তৎকালীন বিএনপি-জামাত সরকার ২১শে আগস্টের ঘটনা সরাসরি ঘটিয়েছিলো। তা এখন প্রমাণিত সত্য। তারা দায়ী, কারণ,

১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলীয় নেতা। ওনার সমাবেশে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল না।

২। গ্রেনেড হামলার পর নিহত আহতদের উদ্ধার করার পরিবর্তে, উদ্ধারকারীদের উপর পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস মেরেছে।

৩। গ্রেনেড হামলার অন্যতম নায়ক তাজউদ্দীনকে ইমিগ্রেশন ছাড়া বিমানবন্দর দিয়ে তাৎক্ষণিক পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার ভাই তখন সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং আরেক ভাই এখন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি।

৪। যে কোনো ঘটনার রহস্য উদঘাটনের মূল হচ্ছে আলামত। সরকার রাতের মধ্যে সব আলামত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দিয়েছিলো। কোনো প্রমান রাখেনি।

৫। এই ঘটনায় থানায় প্রথমে কোনো মামলা নেয়নি। তারা জাতীয় সংসদে এই নিয়ে কোনো আলোচনাও করতে দেয়নি। আহতদেরকে চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিষেধাজ্ঞা ছিলো।

৬। ২১ আগষ্টের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জর্জ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল।

৭(ক)। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফবিআই গিয়েছিলো ২১ আগষ্টের তদন্ত করতে, সরকার তদন্ত করতে দেয়নি। সরকার নিজেও কোনো তদন্ত করেনি।

৭(খ)। অবিস্ফোরিত গ্রেনেড আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করতে চাওয়ায় সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ক্যাপ্টেন শামসুদ্দিন শামসকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিলো।

৮। অন্যতম আসামি মুফতি হান্নান জবানবন্দিতে বলেছে, শেখ হাসিনাকে ঐদিন হত্যার জন্য হাওয়া ভবনে তারেক রহমানের সাথে কোনদিন তারা বৈঠক করেছে। বৈঠকে কে কে ছিল তাদের নাম ও বলেছে।

৯। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ছিলেন, এই ঘটনায় এখনো তিনি কারাবন্দি। বাবর যেদিন কোর্টে বলেছে, ২১ আগস্টের রাজসাক্ষী সে নিজে হবে, বিএনপি তড়িঘড়ি করে সেই রাতেই বাবরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। কারণ বাবর সব সত্য প্রকাশ করে দিতে পারে এই ভয়ে।

এইসব রকেট সাইন্স না, ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় বলেও তাঁর লেখাতে উল্লেখ করেন তিনি।

স্ট্যাটাসটি পড়তে ক্লিক করুন

Link copied!