আরও কম মূল্যে আমদানি হচ্ছে চাল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ১২, ২০২১, ০৯:২৪ পিএম

আরও কম মূল্যে আমদানি হচ্ছে চাল

করোনার মধ্যে চালের লাগামহীন বাজার নিয়ন্ত্রণে আবারও ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়েছে সরকার। চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর পাশাপাশি যাবতীয় রেগুলেটরি ডিউটি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চাল আমাদিনতে শুল্ক ২৫ শতাংশ হতে ১০ শতাংশ শুল্ক কমানো হলো এবং শর্ত সাপেক্ষে সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ প্রজ্ঞাপনের আওতায় রেয়াতি হরে চাল আমদানির শর্ত হচ্ছে, এ জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত কমপক্ষে যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হয়ে ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

তবে চাল আমদানিতে আগাম কর ৫ শতাংশ ও আগাম আয়কর ৫ শতাংশ বহাল রয়েছে। সবমিলিয়ে এখন থেকে চাল আমদানিতে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। যা আগে ছিলো ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কাস্টমস পলিসি ও আইসিটি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারে চালের দাম সহনীয় রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ৭ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে একইভাবে চালের আমদানি শুল্ক কমায় সরকার। ওই সময় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কম শুল্কে আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। মে থেকে আবার আগের মতো ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয় চাল আমদানিতে। এ সময়ে বেসরকারি আমদানিকারকরা আর চাল আমদানি করেনি। 

কিন্তু সরকার কম শুল্কে চাল আমদানির সুযোগ দিলেও বাজারে চালের দাম কমেনি। নতুন ধান ওঠার পরও বাজারে চালের দাম চড়া। বাজার পরিস্থিতি সামলাতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সরকারের মজুদ বাড়ানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ আগস্ট পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৬০ টন চাল আমদানি হয়েছে। যার পুরোটাই আমদানি করেছে সরকার। ওইদিন পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে ১২ লাখ ৩ হাজার টন চাল মজুদ রয়েছে।

 

 

Link copied!