আগস্ট ২৩, ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হওয়া ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী তাসনিয়া এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত রেসিডেন্ট সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার জানান, বিস্ফোরণে তাসনিয়ার শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই তিনি আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তাসনিয়ার বাবা মো. নাজমুল হোসেন জানান, তাঁদের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায়। তিনি মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
তাসনিয়ার মৃত্যুতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৬-এ, যাদের অধিকাংশই শিশু।
ইনস্টিটিউটের আরেক রেসিডেন্ট সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দুর্ঘটনার পরই তাঁকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়।
গত ২১ জুলাই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেদিন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এটিকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা বলা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর বার্ন ইনস্টিটিউটে ৫৬ জন আহতকে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২০ জন মারা গেছেন, ১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং এখনো ২২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
এছাড়া ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যেখানে ইতিমধ্যেই ১৪ জন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতালে আরও দুইজন প্রাণ হারান।